আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৪ মার্চ ২০১৮, রবিবার |

kidarkar

বাড়ছে মোবাইল অ্যাপসের ব্যবহার: বিনিয়োগকারীর সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজার

শেয়ারবাজার রিপোর্ট: প্রযুক্তিগত আধুনিকায়নের সাথে তাল মিলিয়ে ২০১৬ সালের ৯ মার্চ থেকে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোবাইল অ্যাপের মাধ্যেমে লেনদেনের নতুন মাত্রা যুক্ত করে। শুরুতে ব্যাপক প্রচারণা করা হলেও সে তুলনায় অ্যাপসটি ব্যবহারে এখনো অভ্যস্ত হয়নি সব শ্রেণীর বিনিয়োগকারী। তবে বর্তমানে প্রযুক্তিপ্রেমী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অ্যাপভিত্তিক লেনদেনের জনপ্রিয়তা বাড়ছে।ডিএসই’র মোবাইলের মাধ্যমে লেনদেনে করা বিনিয়োগকারীর সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজার দাঁড়িয়েছে।

ডিএসই’র তথ্য অনুসারে, ২০১৬ সালের ৯ মার্চ মোবাইলে লেনদেনের অ্যাপ ‘ডিএসই মোবাইল’ চালু হয়। প্রতি মাসেই নতুন নতুন বিনিয়োগকারী এ সেবার আওতায় আসছেন। এই অ্যাপ চালু হওয়ার পর ক্রমবর্ধমান হারে মোবাইলে লেনদেন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। আজ ৪ মার্চ ২০১৮ সাল পর্যন্ত ২৬ হাজার ৮৮৯ জন বিনিয়োগকারী ডিএসই মোবাইল ব্যবহার করেছেন। অ্যাপ ব্যবহারকারীর মধ্যে ডিএসই-ইনভেস্টর ভার্সনের জন্য নিবন্ধন নিয়েছেন ৮ হাজার ৬০৭ জন, ডিএসই-মোবাইল ট্রেডার হিসেবে ১৬ হাজার ৮৫৬ জন এবং ডিএসই-মোবাইল ভিআইপি হিসেবে ১ হাজার ৪২৬ জন।

আজ ডিএসই মোবাইল অ্যাপে লেনদেনের মোট অর্ডার পড়েছে ১৫ হাজার ৮৩২টি। এর মধ্যে কার্যকর হয়েছে ১০ হাজার ৩৪২টি।

ডিএসইর কর্মকর্তারা জানান, বর্তমান ভার্সনটির মাধ্যমে কেবল অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা লেনদেন করতে পারেন। একই সঙ্গে মোবাইলের মাধ্যমে বিশ্বের যে কোনো স্থান থেকে ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে শেয়ার কেনাবেচা করা যাবে। বর্তমানে কেবল বাংলাদেশে বসেই এ অ্যাপটি ব্যবহার করা যায়। ডিএসই মোবাইলের আরও উন্নত ভার্সন আনার কাজ করছে ডিএসই। এতে লেনদেন সম্পর্কিত আরও বেশি তথ্য পাওয়ার পাশাপাশি অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ক্রয় বা বিক্রয় আদেশ দেওয়ার সুবিধা পাবেন অ্যাপ ব্যবহারকারীরা। তবে একটু সময়ের ব্যাপার রয়েছে।

উল্লেখ্য, ‘ডিএসই মোবাইল’ অ্যাপের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে অনলাইনে নিজের বিও হিসাবে সিকিউরিটিজ কেনাবেচার আদেশ দিতে পারছেন। পোর্টফোলিওর রিয়েল টাইম আপডেট থেকে শুরু করে, বিও হিসাবের খুঁটিনাটি তথ্যের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় বিশ্লেষণের জন্য গ্রাফ-চার্টসহ নানা সুবিধা রয়েছে অ্যাপটিতে।

ব্রোকারেজ হাউজ থেকে নিবন্ধন করে আইডি ও পাসওয়ার্ড নিয়ে এ অ্যাপ ডাউনলোড করা যাবে। যেকোনো অ্যান্ড্রয়েড সেলফোনের পাশাপাশি আইফোনের মাধ্যমে এটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা।

ডিএসইর মোবাইল অ্যাপে মোট তিন ধরনের সংস্করণ রয়েছে। এর মধ্যে একটি ব্রোকার হাউজ এবং বাকি দুটি বিনিয়োগকারীদের জন্য। যেসব বিনিয়োগকারী এ অ্যাপসের মাধ্যমে লেনদেনের আদেশ দিতে চান, তাদের জন্য অর্ডার ভার্সন নামে একটি সংস্করণ রয়েছে। অন্যদিকে যারা দিনের লেনদেনের সবকিছু লাইভ দেখতে চান, কিন্তু সরাসরি আদেশ দিতে চান না, তাদের জন্য আরেক ধরনের সংস্করণ রয়েছে। আর ব্রোকারদের জন্য রাখা সংস্করণটির মাধ্যমে হাউজগুলো ডিলার হিসেবে থাকা শেয়ারের সর্বশেষ তথ্য দেখা ছাড়াও কেনাবেচার আদেশ দিতে পারবে।

শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.