দরপতনে অস্থির বিনিয়োগকারীরা
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: অব্যাহত দরপতনে অস্থির হয়ে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। প্রতিনিয়তই তাদেরকে পুঁজি হারাতে হচ্ছে। সিকিউরিটিজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর অবস্থাও নাজুক পর্যায়ে চলে এসেছে। কিন্তু বর্তমান বাজারকে টেনে তুলতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নিরব ভূমিকা পালন করছে। এতে অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে পুঁজিবাজার। গতকালকের মতো আজো সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনে শেষ হয়েছে লেনদেন। এদিন শুরু থেকেই সেল প্রেসারে টানা নামতে থাকে সূচক। সোমবার লেনদেন শেষে সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আলোচিত সময়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৯৮ কোটি টাকা।
আজ দিন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৬৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫৭০৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩৫০ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২১০৭ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৩৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩০টির, কমেছে ২৭৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ২৯৮ কোটি ২৪ লাখ ৮১ হাজার টাকা।
এর আগের কার্যদিবস অর্থাৎ রোববার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৫৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৫৭৭৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৩৬৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ২১২৬ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ২৩৬ কোটি ৭৩ লাখ ৮১ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৬১ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
এদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএসইএক্স ১৫১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১০ হাজার ৬৩৯ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২১৮টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২টির, কমেছে ১৯১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৪৭ কোটি ৩৫ লাখ ২১ হাজার টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু