আজ: বুধবার, ০৮ মে ২০২৪ইং, ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৮ মে ২০১৫, সোমবার |

kidarkar

মেসি ম্যাজিকে চ্যাম্পিয়ন বার্সা

messi-5শেয়ারবাজার ডেস্ক: ট্রেবল জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মৌসুম শুরু করা স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা তাদের প্রথম মিশনে সফল। দলের আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির একমাত্র গোলে স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপা জয় করে নিল বার্সা। অ্যাতলেতিকোর ঘরের মাঠ ভিসেন্তে দেল কালদেরনে মেসির গোলে ১-০তে স্বাগতিকদের হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা জয়ের স্বাদ নিল কাতালানরা।

৪-৩-৩ ফরমেশনে লুইস এনরিক তার শিষ্যদের ম্যাচের শুরু থেকে খেলাতে থাকেন। বার্সার হয়ে শুরুর একাদশে মাঠে নামেন ক্লদিয়ো ব্রাভো, দানি আলভেজ, জেরার্ড পির্কে, মাশচেরানো, জরদি আলবা, ইভান রেকিটিক, আন্দ্রে ইনিয়েস্তা, বাসকুয়েটস, পেদ্রো, লিওনেল মেসি আর নেইমার। হ্যামসট্রিং ইনজুরির কারণে উরুগুয়ের তারকা স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ এ ম্যাচে মাঠে নামতে পারেন নি।

অপরদিকে, বার্সাকে রুখে দিতে ঘরের মাঠে দিয়েগো সিমিওন তার শিষ্যদের ৪-৪-২ ফরমেশনে খেলান। শুরুর একাদশে স্বাগতিকদের হয়ে মাঠে নামেন জন ওব্লাক, হুয়ানফ্রান, দিয়েগো গডিন, জিমিনেজ, সেকুইরা, মারিও সুয়ারেজ, গ্যাবি, কোকে, আরদা তুরান, অ্যান্তোনি গ্রিজম্যান এবং ফার্নান্দো তোরেস। শুরুর একাদশে মাঠে নামতে পারেন নি মিরান্ডা, মান্দজুকিচ আর নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকা থিয়াগো।

ম্যাচের ১১তম মিনিটে আর্জেন্টাইন তারকা মেসি মাটি কামড়ানো একটি জোরালো শট নেন। তবে, অ্যাতলেতিকোর গোলরক্ষক জন ওব্লাক নিজের গ্লাভসবন্দি করেন মেসির শটটি। পরের মিনিটেই আবারো গোলের দুয়ার থেকে ফিরে আসেন মেসি। চারবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর হেড রুখে দেন প্রত্যয়ী ওব্লাক। তবে, এর আগে জিমিনেজের একটি চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন কাতালান গোলরক্ষক ব্রাভো।

ম্যাচের সময় যত গড়াতে থাকে খেলার গতিও ততই বাড়তে থাকে। ৪১ মিনিটের মাথায় মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে অ্যাতলেতিকোর ডি-বক্সে আক্রমণ সাজায় বার্সা। গোলবারের বামপাশ ঘেসে পেদ্রো বল বাড়িয়ে দেন নেইমারকে। কিন্তু অ্যাতলেতিকোর গোলরক্ষক ওব্লাকের হাতে লেগে নেইমার পর্যন্ত বল না গেলে গোলের সুযোগ নষ্ট হয় বার্সার।

পাল্টা আক্রমণে বার্সার ডি-বক্স লক্ষ্য করে বল নিয়ে এগিয়ে যান তোরেস। তবে, কাতালানদের অতন্দ্র প্রহরী আর্জেন্টাইন মাশচেরানো তাকে রুখে দেন। ম্যাচের ৪৫ মিনিটের মাথায় আবারো বার্সার আক্রমণ। এবারে ব্রাজিল তারকা আলভেজ স্বাগতিকদের গোলবার লক্ষ্য করে জোরালো শট নেন। তবে, প্রস্তুত ছিলেন ওব্লাক। কর্নারের মাধ্যমে বল ক্লিয়ার করেন তিনি।

প্রথমার্ধে কোনো গোল না হলে দুই দল বিশ্রামে যায়।

বিরতির পর সামন হারে আক্রমণ আর পাল্টা-আক্রমণে খেলা গড়াতে থাকে। অবশেষে গোলের দেখা পাওয়া যায় ভিসেন্তে দেল কালদেরনে। ম্যাচের প্রথম গোলটি আসে আর্জেন্টাইন সুপার স্টার মেসির পা থেকে। ম্যাচের ৬৫ মিনিটের মাথায় অ্যাতলেতিকোর ডিফেন্সকে বোকা বানিয়ে গোল করেন মেসি। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে থাকা পেদ্রোর সঙ্গে ওয়ান-টু-ওয়ান খেলে ডান পায়ের আড়াআড়ি শটে অ্যাতলেতিকো গোলবারের ডানপাশে বল জড়িয়ে দেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। ফলে, ১-০তে এগিয়ে যায় কাতালানরা।

তিন মিনিট পরেই নেইমারের একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। তবে, খেলার ৭১ মিনিটে নেইমার যে সুযোগটি নষ্ট করেছেন তার জন্য কাতালানদের সঙ্গে ব্রাজিল অধিনায়ক নিজেও আফসোস করতে পারেন। রেকিটিক আর মেসির দারুণ পাস থেকে বল পান নেইমার। গোলবারের ফাঁকা জায়গা থেকে নেইমার যে শটটি নেন সেটির জন্য অ্যাতলেতিকোর গোলরক্ষক ওব্লাক মনে মনে নিশ্চয়ই মুচকি হেসেছেন। নেইমারের নেওয়া শটটি গোলবারের অনেক উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়।

এমন অবস্থায় অ্যাতলেতিকোর কোচ দিয়েগো সিমিওন আরদা তুরানকে তুলে তার বদলি হিসেবে মাঠে পাঠান মারিও মান্দজুকিচকে। খেলার ফরমেশনেও আনেন পরিবর্তন। সিমিওন তার শিষ্যদের ৪-৩-৩ ফরমেটে খেলাতে থাকেন ম্যাচের পরবর্তী সময়।

পুরো ম্যাচে দারুণ ছন্দে থাকা পেদ্রো ৭৬ মিনিটের সময় অ্যাতলেতিকোর ডিফেন্সকে ফাঁকি দিয়ে দারুণ বাঁকানো একটি শট নেন। তবে, গোলবার ঘেষে যাওয়া তার এ শটে কোনো গোল আসেনি।

৮৬ মিনিটে জিমিনেজের একটি শট গোলবারের উপর দিয়ে চলে গেলে অ্যাতলেতিকোর গোলের দেখা পাওয়া হয় না। দুই মিনিট পরেই মেসির একটি রুখে দেন ওব্লাক। বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলে ১-০তে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।

আর এ জয়ের পরে চলতি মৌসুমের এক ম্যাচ হাতে রেখেই লা লিগার শিরোপা নিজেদের করে নেয় লুইস এনরিকের বার্সেলোনা।

 

শেয়ারবাজারনিউজ/অ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.