অলিম্পিক এক্সেসরিজের ড্র সম্পন্ন: রিফান্ড বিতরণ ২৪ মে
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: আবেদনকারীদের মধ্যে শেয়ার বরাদ্দ দেয়ার জন্য অলিম্পিক এক্সেসরিজ লিমিটেডের প্রাথমিক গণ প্রস্তাব (আইপিও) লটারির ড্র সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার বিকেল ৩টায় রাজধানী ঢাকার, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে শুরু হয় কোম্পানির ড্র।
লটারি ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়া, পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম মওলা মজুমদার, গোলাম সরোয়ার, মমিনুল হক এবং মেসবাহ উদ্দিন। এছাড়াও বুয়েটের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) জলিলুর রহমান, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) মোহাম্মদ রাজিব আহদেন, সিডিবিএলের কর্মকর্তা আলমাস আরফিন, সিএপিএম অ্যাডভাইজারি লিমিটেডের প্রধান কর্মকর্তা মো: মোফাখখারুল ইসলাম এবং পিএলএফএস ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা বাবু নিপেন্দ্র চন্দ্র পন্ডিত।
এদিকে প্রাথমিক গণ প্রস্তাব (আইপিও) লটারির ড্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা অলিম্পিক এক্সেসরিজ লিমিটেডের এ্যালটমেন্ট লেটার বা বরাদ্দপত্র ও রিফান্ড ওয়ারেন্ট বিতরণ আগামী ২৪ মে রোববার শুরু হবে।
জানা যায়, অলিম্পিক এক্সেসরিজের রিফান্ড ওয়ারেন্ট ২৪ মে রোববার থেকে শুরু হয়ে ২৮ মে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিতরণ করা হবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংক রশিদের বিনিময়ে বরাদ্দপত্র এবং রিফান্ড ওয়ারেন্ট বিতরণ চলবে। পল্টন কমিউনিটি সেন্টার ও ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে বরাদ্দপত্র এবং রিফান্ড ওয়ারেন্ট সংগ্রহ করতে পারবেন আবেদনকারীরা।
জানা গেছে, ২৪ মে রোববার ‘পল্টন কমিউনিটি সেন্টারে’ ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের অনুমোদিত সকল শাখা সমূহের বরাদ্দপত্র ও রিফান্ড ওয়ারেন্ট বিতরণ করা হবে। একই দিনে ‘ঢাকা জেলা ক্রীয়া সংস্থায়’ এক্সিম ব্যাংক এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের অনুমোদিত শাখা সমূহের বরাদ্দপত্র ও রিফান্ড ওয়ারেন্ট বিতরণ করা হবে।
২৫ মে সোমবার ‘পল্টন কমিউনিটি সেন্টারে’ ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (আইসিবি) অনুমোদিত সকল শাখা সমূহের বরাদ্দপত্র ও রিফান্ড ওয়ারেন্ট বিতরণ করা হবে। একই দিনে ‘ঢাকা জেলা ক্রীয়া সংস্থায়’ মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের অনুমোদিত শাখা সমূহের বরাদ্দপত্র ও রিফান্ড ওয়ারেন্ট বিতরণ করা হবে।
২৬ মে মঙ্গলবার ‘পল্টন কমিউনিটি সেন্টারে’ এনসিসি ব্যাংক লিমিটেডের অনুমোদিত সকল শাখা সমূহের বরাদ্দপত্র ও রিফান্ড ওয়ারেন্ট বিতরণ করা হবে। একই দিনে ‘ঢাকা জেলা ক্রীয়া সংস্থায়’ ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের অনুমোদিত শাখা সমূহের বরাদ্দপত্র ও রিফান্ড ওয়ারেন্ট বিতরণ করা হবে।
২৭ মে বুধবার ‘পল্টন কমিউনিটি সেন্টারে’ দি সিটি ব্যাংক লিমিটেডের অনুমোদিত সকল শাখা সমূহের বরাদ্দপত্র ও রিফান্ড ওয়ারেন্ট বিতরণ করা হবে। একই দিনে ‘ঢাকা জেলা ক্রীয়া সংস্থায়’ ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের অনুমোদিত শাখা সমূহের বরাদ্দপত্র ও রিফান্ড ওয়ারেন্ট বিতরণ করা হবে।
২৮ মে, বৃহস্পতিবার ‘পল্টন কমিউনিটি সেন্টারে’ দি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের অনুমোদিত সকল শাখা সমূহের বরাদ্দপত্র ও রিফান্ড ওয়ারেন্ট বিতরণ করা হবে। একই দিনে ‘ঢাকা জেলা ক্রীয়া সংস্থায়’ অনিবাসী বাংলাদেশী (এনআরবি) সকল মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং আই/এ হিসাবসমূহের বরাদ্দপএ ও ওয়ারেন্ট রিফান্ড বিতরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, যারা নির্ধারিত তারিখের মধ্যে রিফান্ড ওয়ারেন্ট সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হবে, তাদের নিজ ঠিকানায় তাদের ঝুঁকিতে কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হবে। তবে যেসব বিনিয়োগকারী এবি ব্যাংক লিমিটেড, আল-আরফা ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, আল-ফালাহ ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন পিএলসি, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড,হাবিব ব্যাংক, এইচএসবিসি ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, মিডল্যান্ড ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক লিমিটেড, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড, মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক (এসবিএসি)লিমিটেড, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, দি সিটি ব্যাংক ট্রাস্ট ব্যাংক এবং ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডে যাদের অ্যাকাউন্ট আছে তাদের নিজ নিজ অ্যাকাউন্টে রিফান্ড জমা হয়ে যাবে। তবে প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা এ সুযোগ পাবে না।
উল্লেখিত ব্যাংক হিসাবে যদি টাকা জমা না হয়, তাহলে তাদেরকে আগামী ২১ থেকে ২৫ জুনের মধ্যে কেন্দ্রয় কচি কাঁচার মেলা,৩৭/এ, সেগুনবাগিচা (৪র্থ তলা), সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টার মধ্যে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। তবে শুক্রবার ও সরকারী ছুটির দিন ব্যতিত।
জানা যায়, অলিম্পিক এক্সেসরিজের আইপিওতে সর্বমোট ১ হাজার ১৩ কোটি ৩১ লাখ ৪১ হাজার ৩২ টাকার আবেদন জমা পড়েছে। যা মোট আবেদনের ৫০.৬৭ গুণ। এ কোম্পানির আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা জমা দিয়েছেন ৬০১ কোটি ৭৬ লাখ ১৫ হাজার টাকার আবেদন। ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা জমা দিয়েছেন ৬৭ কোটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার টাকার আবেদন, প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা জমা দিয়েছেন ৪৩ কোটি ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৩২টাকা এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত থেকে জমা পড়েছে ৩০০ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার টাকার আবেদন।
অলিম্পিক এক্সেসরিজের আইপিওতে স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা ১৯ এপ্রিল, রোববার থেকে ২৩ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আবেদন করেছেন। আর প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের জন্য এ সুযোগ ছিল ২ মে পর্যন্ত।
আইপিও’র মাধ্যমে বাজার থেকে ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে অলিম্পিক এক্সেসরিজ। এ লক্ষ্যে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ২ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করবে কোম্পানিটি । যার মার্কেট লট নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০টি শেয়ারে।
উত্তোলিত অর্থ দিয়ে নতুন ফ্যাক্টরী ভবন তৈরী, মেশিনারীজ ক্রয় এবং আইপিও খাতে ব্যয় করবে কোম্পানিটি। এর আগে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৫৩৯তম সভায় এ কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়।
৩০ জুন ২০১৪ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটিতে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৪৩ টাকা। আর বছর শেষে শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ১৬.৩৪ টাকা।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে পিএলএফএস ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং সিএপিএম অ্যাডভাইজারি লিমিটেড।
শেয়ারবাজারনিউজ/অ