আজ: বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪ইং, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৫ জানুয়ারী ২০১৮, সোমবার |

kidarkar

যে কারণে ৮ কার্যদিবসে বিনিয়োগকারী হারালো ১৩ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা

শেয়ারবাজার রিপোর্ট: মুদ্রানীতি প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংককে চাপে ফেলতে পুঁজিবাজারের পতন ঘটাচ্ছে এই খাতেরই সুযোগ সন্ধানীরা। কারণ আগ্রাসী ঋণ বন্ধে মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণের লাগাম টানতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে ব্যাংকিং খাতের দুর্নীতিবাজদের দৌরাত্ম কমবে বলে মনে করছে ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে অর্থনীতিবিদদের অনেকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন সিদ্ধান্তের বিপক্ষে রয়েছেন। আর এ সুযোগে পুঁজিবাজারকে জিম্মি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চাপ দিচ্ছে ব্যাংক খাতের হর্তাকর্তারা।

পুঁজিবাজারকে জিম্মি করার কারণ, এ বাজারের বড় অংশের তারল্যের যোগান আসে ব্যাংক খাত থেকে। আর বেসরকারি ঋণ বিতরণে লাগাম টানা হলে পুঁজিবাজারে তারল্য সঙ্কট তৈরি হবে। তাই অধিকাংশ ব্যাংক বাজার থেকে বিনিয়োগ তুলে নিচ্ছে। তাতে চলতি বছরের শুরু থেকেই বিশেষ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণে লাগাম টানার ঘোষণার পর থেকেই পুঁজিবাজারে ব্যাপক পতন চলছে। যার জন্য পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমন্বহীনতাকেই দায়ী করছেন।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ কর্তারা আরো জানান, আগ্রাসি ব্যাংকিং থেকে আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যাংকগুলোর ঋণ-আমানত সীমার (এডিআর) অনুপাত কমিয়ে আনা হচ্ছে। প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর জন্য এই সীমা ৮৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮০ শতাংশ এবং ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর জন্য ৯০ থেকে ৮৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। চলতি মাসের শেষ দিকে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ব্যাপক পতন ঘটেছে। এদিন শুরুতে সামান্য উত্থান থাকলেও ২৫ মিনিট পর সেল প্রেসারে টানা নামতে থাকে সূচক। শেষ ভাগে একবার ঘুঁড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও ব্যহত হয় বাজার। সোমবার সূচকের পাশাপাশি ৭৬.১৯ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। তবে টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আজ দিনশেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪০৬ কোটি ১৪ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।

এদিকে টানা ৮ কার্যদিবসে বাজার মূলধন কমেছে ১৩ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৭ দিনের পতনে সূচক ২৬০ পয়েন্ট কমেছে।

আজ দিন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৬০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬০৫৭ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩৭৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২২২৪ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৩৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৪০টির, কমেছে ২৫৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৪০৬ কোটি ১৪ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।

এর আগের কার্যদিবস অর্থাৎ রোববার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৬১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৬১১৭ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৩৮৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ২২৪২ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৩২৮ কোটি ৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৭৮ কোটি ৬ লাখ ৪ হাজার টাকা।

এদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএসইএক্স ১০০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১ হাজার ৩০৯ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৩২টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৩টির, কমেছে ১৬৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৫৬ লাখ ৫১ হাজার টাকা।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.