আজ: সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৮ মে ২০১৫, শুক্রবার |

kidarkar

ওজন কমানোর সহজ পদ্ধতি

11196225_65178শেয়ারবাজার ডেস্ক: স্লিম স্বাস্থ্য সকলেই পছন্দ করেন। নিজেকে পাতলা ও আকর্ষণীয় করতে কত কিছুই না করে থাকি আমরা। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষের চিন্তা-ভাবনা এই যে, স্লিম থাকতে হলে অনেক কষ্ট করতে হয়। অনেক নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। স্লিম হওয়া অনেক কঠিন ও কষ্টসাধ্য বিষয় বলে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু তা সঠিক নয়। আপনার জীবনধারায় কিছু ছোট ছোট পরিবর্তন করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ওজন কমাতে পারবেন। এবার জেনে নিন ওজন কমানোর সবচেয়ে সহজ টিপসগুলো-

প্রোটিন জাতীয় খাবার খাবেন:
খাবারের সময় অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে আপনি যা খাচ্ছেন, তাতে যেন ক্যালোরির পরিমাণ কম হয়। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবার সাথে সাথে ওজন হ্রাস করতেও সাহায্য করে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার অনেক সময় পর্যন্ত পেট পূর্ণ করে রাখে। এতে চর্বির পরিমাণ কম, তাই আপনি যতটুকু ইচ্ছা প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। এছাড়াও এটি চর্বিহীন পেশী তৈরিতে সাহায্য করে। যার ফলে ওজন হ্রাস পায়।

দিনে তিনবারের অতিরিক্ত খাবার খাবেন না:
দিনে তিনবেলা খাবার খাবেন। এর বেশি কোন ভারী খাবার খাওয়ার প্রয়োজন নেই। সারাদিনে বারবার ফল ও ক্যালোরিমুক্ত হালকা খাবার খাবেন। কিছু মানুষ বলে থাকেন, দিনে দুই ঘণ্টা পরপর খাওয়া উচিৎ। কিন্তু, এ কথার বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি নেই।

চিনিযুক্ত খাবার পরিহার করুন:
চিনিযুক্ত খাবার সামান্য পরিমাণে গ্রহণ করুন। কারন, চিনিতে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি। চিনির ফলে স্বাস্থ্যে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা যায়। তাই, সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই অতিরিক্ত চিনি পরিহার করুন। সামান্য পরিমাণে খেতে পারেন। তাতে বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।

আস্তে আস্তে খাবার খান:
খুব দ্রুত খাবার খাওয়ার চেয়ে আস্তে আস্তে খাবার খাওয়া ভালো। এতে শরীরে বেশি ক্যালোরি সঞ্চার হতে পারে না। পেটের ৮০ শতাংশ ভরে যাবার পর আর খাবেন না। সম্পূর্ণ পেট ভরে খাবার খেলে পেটে চর্বির সৃষ্টি হয়। এ পদ্ধতি অবলম্বন করলে অবশ্যই আপনার অতিরিক্ত মেদ খুব শীঘ্রই কমে যাবে।

স্ন্যাক খাওয়া বন্ধ করুন: ওজন কমানোর এক নাম্বার অন্তর্ঘাতক হল স্ন্যাক। মানুষ যখন স্ন্যাক খাওয়া শুরু করে তখন ক্রমাগত মুখে শুধু খাবার দিতেই থাকে, এর ফলে তাদের শরীরে ক্যালোরির মাত্রা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন ধরণের ভাজাপোড়া খাবার শোধিত চিনি থাকে, যার ফলে ওজন বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত পরিমাণে যে কোন ধরণের স্ন্যাক খাওয়া নির্বোধের ব্যাপার এবং এটি ওজন হ্রাসের ক্ষেত্রে ধ্বংসাত্মক। তাই, এই কাজ থেকে বিরত থাকুন।

কোমল পানীয় পান করবেন না:
ওজন কমানোর এক নাম্বার অন্তর্ঘাতক স্ন্যাক হলে দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে ক্যালোরিযুক্ত কোমল পানীয়। এগুলো একইভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। আপনি যখন এসকল চিনিযুক্ত পানীয় পান করে পরিতৃপ্ত হচ্ছেন, তখনি সাথে সাথে আপনার ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকিও বাড়ছে। যারা প্রচুর পরিমাণে ব্যায়াম করেন, তারা দিনে কম করে কোমল পানীয় খেতে পারেন। কারন, তাদের শরীরে গ্লাইকোজেন এর প্রয়োজন হয়। কিন্তু, যারা শরীর চর্চা করেন না, তারা কোমল পানীয় পান করবেন না।

কফি পান করুন:
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, কফি মানুষকে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রশান্তি দেয়। কফির ফলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায় না। তবে দিনে চার কাপ কফি পানের ফলে ওজন হ্রাস পায়। তাই, কফি পান করুন।

এই ৭টি সহজ নিয়ম পালন করে চলুন, এতে খুব শীঘ্রই আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে যাবে। তবে অবশ্যই সবসময় নিজেকে চিন্তামুক্ত রাখুন। চিন্তার ফলে মানুষের ওজনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.