রাঙ্গামাটিদের রুখে দাঁড়ানোর এখনই সময়
শেয়ার বাজারের জন্য একটি দু:সংবাদ প্রকাশ করেছে জাতীয় অনলাইন পোর্টাল শেয়ারবাজার নিউজ ডটকম। ২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারী প্রকাশিত ওই সংবাদে তালিকাভূক্ত কোম্পানীগুলোর অনিয়ম অব্যাবস্থাপনা ও স্বেচ্ছাচারিতার একটি বাস্তব চিত্র সামান্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে পত্রিকাটি। সামান্য বলার কারণ হলো অনেক খোজাখুজির পরও কোম্পানির কোনো পর্যায়ের কারো সাথেই যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হয়নি। সংবাদ পত্রের ইথিকস (নিয়মাবলী) অনুযায়ী কারো দুর্নীতি সম্পর্কীত সংবাদ প্রকাশের আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলা কিংবা অভিযোগটির বিষয়ে তাদের মতামত নেয়া খুবই জরুরী বিষয়। আর এই ইথিকস মানতে গিয়েই শেয়ারবাজার নিউজ ডটকমের সাংবাদিকরা রাঙ্গামাটি ফুডের চেয়ারম্যান কিংবা এমডি অথবা পরিচালকসহ যে কোন পর্যায়ের একজনের সাথে কথা বলার জন্যে হন্যে হয়ে ঘুরেছেন। এমনকি সাংবাদিকরা চাচ্ছিলেন রাঙ্গামাটি ফুডের বিরুদ্ধে তাদের হাতে যে সকল অভিযোগ আছে সে ব্যাপারে অন্তত তারা প্রতিবাদ জানাক। কিন্তু ওইটুকু বলার জন্যও কাউকে পাওয়া যায়নি।
শুধু তাই নয়, পত্রিকাটির খবরে আরো বলা হয়েছে, কোন নোটিস ছাড়াই কোম্পানির ঢাকার অফিস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে কোম্পানি বিক্রি করে পরিচালনা পর্ষদ আড়াল হয়ে যেতে পারে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই এ কোম্পানির যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগি বিনিয়োগকারীরা। ডিএসইতে এ কোম্পানির ঢাকার অফিসের ঠিকানা ২৩, পুরানা পল্টন লেন (৩য় তলা),ঢাকা-১০০০ দেয়া হয়েছে। কিন্তু উল্লেখিত ঠিকানায় এ কোম্পানির অফিস নেই। এ কোম্পানির রেজিষ্টার্ড অফিস হোল্ডি নং: ৩৮,সুগন্ধা আর/এ, রোড নং : ২/খ, পাঞ্চলাইশ, চট্টগ্রাম। অন্যদিকে এ কোম্পানির ফ্যাক্টরী হচ্ছে বিএসসিআইসি ইন্ডাষ্ট্রিয়াল এস্টেট, কানাইপুর, ফরিদপুর। এ সমস্ত জায়গার কোথাওই কোম্পানির আনুষ্ঠানিক কাজ কর্মের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। চেয়ারম্যান হচ্ছেন পিবি বড়–য়া, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডিকে বড়–য়া। এছাড়া অন্যান্য পরিচালকরা হলেন, প্রভাকর বড়–য়া, কে কে বড়–য়া, আঙলা প্রু মার্মা, অভিজিত বড়–য়া এবং মনোরঞ্জন চাকমা। শতভাগ সংখ্যালঘু নিয়ন্ত্রিত এই প্রতিষ্ঠানটির প্রত্যেকের সাথে পৃথক পৃথকভাবে চেষ্টা করেও কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আমরা চাইনা আমাদের এই পত্রিকায় রাঙ্গামাটি ফুডের মতো আরো কোনো কোম্পানির সংবাদ প্রকাশ পাক। যাবতীয় অনিয়ম অব্যাবস্থাপনার খবর রাঙ্গামাটি দিয়েই যেন শেষ হয়ে যায়। কারন এই কোম্পানিগুলোর সাথে জড়িয়ে রয়েছে লাখ লাখ বিনিয়োগকারীর জীবন মরনের প্রশ্ন। আমরা মনে করি পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলন করে টাকা হাতে পাওয়ার পর যারা সেই টাকাকে বিনিয়োগকারীর সম্পদ এবং আমানত মনে না করে নিজেদের সম্পদ বলে মনে করে তাদের বিরুদ্ধে শুধু নিয়ন্ত্রক সংস্থাই নয় সমবেত বিনিয়োগকারীর কিংবা আপামর জনসাধারনের রুখে দাঁড়াবার সময় এসেছে। আমাদের বিশ্বাস এ বিষয়ে এখনি জনসচেতনতা গড়ে তোলা জরুরী এবং সে কাজটি অবশ্যই শুরু করতে হবে এ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসাবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে।