বিমানবন্দরে বানকোর মালিকের দেশত্যাগে বাধা
শেয়ারবাজার ডেস্ক: বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত না দিয়ে দেশ থেকে পালানোর পথে এক ব্রোকারেজ হাউসের মালিককে বিমানবন্দরে আটকে দিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই ঘটনা ঘটে।
সকালে টার্কিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছিলেন বানকো সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান আবদুল মুহিত। পরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁর বিদেশযাত্রা আটকে দেয়।
বিনিয়োগকারীদের বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবের বিপুল অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় বর্তমানে ব্রোকারেজ হাউসটির লেনদেন স্থগিত রয়েছে। এ অবস্থায় ব্রোকারেজ হাউসটির মালিকেরা যাতে দেশ ছেড়ে যেতে না পারেন, সে জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির পক্ষ থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কার্যালয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল।
বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের এ ঘটনায় ১৪ জুন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পক্ষ থেকে মতিঝিল থানায় আবদুল মুহিতসহ ব্রোকারেজ হাউসটির অন্য মালিকদেরও অভিযুক্ত করে অভিযোগ করা হয়েছিল। তারই সূত্র ধরে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগটি পাঠানো হয় দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। বর্তমানে বিষয়টি দুদকের তদন্তাধীন রয়েছে।
এ অবস্থায় আবদুল মুহিত সকালে দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে যান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে আটকে দেয়।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের কর্তব্যরত সদস্য সাইফুল সকাল ১০টায় গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সাইফুল বলেন, তাঁর (আবদুল মুহিত) দেশত্যাগের বিষয়ে আমাদের কাছে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তাই সকালে টার্কিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানে তিনি লন্ডন যাওয়ার জন্য ইমিগ্রেশন পুলিশের মুখোমুখি হলে তাঁর বিদেশযাত্রা আটকে দেওয়া হয়। এরপর আমরা দুদক ও শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিষয়টি অবহিত করেছি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বানকো সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশত্যাগের চেষ্টা করছিলেন। তাকে যেতে দেওয়া হয়নি। ইমিগ্রেশন পুলিশ আমাদেরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে পরে তাকে পুলিশ বা অন্য কোনো সংস্থার কাছে হ্স্তান্তর করা হয়েছে কি-না তা এখনো আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি।