অলিম্পিক এক্সেসরিজের তথ্যে বিভ্রান্তি
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সদ্য তালিকাভুক্ত হওয়া প্রকৌশল খাতের অলিম্পিক এক্সেসরিজের প্রোফাইলে দেখা দিয়েছে বড় ধরনের তথ্যবিভ্রাট। কোম্পানির প্রোফাইলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৬৭.৫ শতাংশ দেখানো হলেও কোম্পানি বলছে ভিন্ন কথা।
সাধারন বিনিয়োগকারীদের ফাঁকি দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারকেও একই তালিকায় এনে দেখানো হয়েছে কোম্পানির প্রোফাইলে। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠান না হওয়ায় অনেক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীকেও সাধারণ বিনিয়োগকারীর তালিকায় দেখানো হয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, আইপিও’তে ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করা অলিম্পিক এক্সেসোরিজের পরিশোধিত মূলধন দেখানো হয়েছে ১১৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে রয়েছে ৩০.৭৯ শতা্ংশ। ডিএসইর শেয়ার ধারণ সংক্রান্ত তথ্য নির্ভুল হলে আইপিও’তে কোম্পানি প্রায় ৭৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা উত্তোলন করতো। কিন্তু উত্তোলন করেছে মাত্র ২০ কোটি টাকা।
আর লেনদেনের প্রথমদিনেই চমকপ্রদভাবে দর বাড়ায় কোম্পানির তথ্যবিভ্রাট সাধারন বিনিয়োগকারীদের মনে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। বাজার সম্পর্কে সচেতন অনেক বিনিয়োগকারীরা এ তথ্যবিভ্রাটকে কারসাজির পূর্বাভাস হিসেবেও দেখছেন।
তবে এ ব্যাপারে কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ভিন্ন কথা। কোম্পানির প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (সিএফও) জাফরান তারেক চৌধুরী শেয়ারবাজারনিউজ ডট কমকে জানান, ‘লিস্টিং আইনের কারনে আমরা প্রথমে মিউচ্যুয়াল ফান্ডসহ অনেক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগকে একসাথে হিসাব করা হয়েছে। এমনকি প্লেসমেন্টের শেয়ারগুলোকেও একত্রে সাধারন বিনিয়োগকারীদের শেয়ার হিসেবে দেখানো হয়েছে। কারণ, লক-ইন শেষ হলে এগুলো তো বাজারে আসতে কোনো বাধা থাকবে না। কিন্তু পরের বার নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ি তা আলাদা করা হয়েছে। কিন্তু ডিএসই’র কাছে আগের তথ্যটি থাকায় এখন এটি প্রদর্শিত হচ্ছে।
এ ধরনের তথ্যবিভ্রাটের পরিনতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা ডিএসই’কে চিঠি দিয়েছি। আগামী রোববারে মধ্যেই এটি সংশোধিত হবে বলে আশা করছি।’
শেয়ারবাজারনিউজ/ও/সা