সোডিয়াম থেকে শিশুদের বাঁচানোর উপায়!
শেয়ারবাজার ডেস্ক: শিশু আর কিশোর-কিশোরীদের একমাত্র খাবার হয়ে উঠেছে চিকেন নাগেট, ক্র্যাকার্স এবং ম্যাকারনি। এসব খাবার ক্যালোরি ও ফ্যাট ছাড়াই শুধু যে পরিমাণ সোডিয়াম শিশুদের দেহে প্রবেশ করছে, তা বাকি জীবনটুকু অসুস্থ হয়ে কাটানোর জন্যে যথেষ্ট। এক গবেষণায় এ তথ্য দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।
রক্তের পরিমাণ এবং রক্তচাপ সুষ্ঠু রাখতে শিশুর খাদ্যে সামান্য পরিমাণ সোডিয়াম দরকার। এই উপাদানটি পেশি এবং নার্ভের সুষ্ঠু কাজের জন্যে যথেষ্ট। আমেরিকার সেন্টারস অব ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এক জরিপে জানায়, ৯০ শতাংশ শিশুর প্রতিদিন যে পরিমাণ সোডিয়াম প্রয়োজন তার চেয়ে ১ হাজার মিলিগ্রাম সোডিয়াম বেশি খাচ্ছে তারা।
মাত্রাতিরিক্ত সোডিয়াম কিডনি নষ্ট হওয়া থেকে শুরু করে উচ্চরক্তচাপ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং স্থূলতার ঝুঁকিতে রাখতে পারে।নিউ ইয়র্কের পেডিয়াট্রিসিয়ান ড. ডায়ান হেস জানান, বাবা-মায়েরা নিজেরাই শিশুদের মাত্রাতিরিক্ত সোডিয়াম খাওয়াচ্ছেন। প্রক্রিয়াজাত খাবার সোডিয়ামের বড় একটি উৎস। পিজ্জা বা চিজ থেকে দিনের ৪৩ শতাংশ সোডিয়াম চলে আসে।
এখন জেনে নিন, সোডিয়াম গ্রহণ কমাতে আপনি কি কি করতে পারেন। ১-৩ বছর বয়সী শিশুর দিনে ১০০০ মিলিগ্রামের বেশি সোডিয়াম খাওয়া উচিত নয়। ৪-৮ বছর বয়সীদের ১২০০ মিলিগ্রাম এবং ৯-১৮ বছর বয়সীদের ১৫০০ মিলিগ্রামের বেশি সোডিয়াম খাওয়া ক্ষতিকর।
১. শিশুদের বেশি বেশি ফল খাওয়ার উৎসাহ দিন। শাক-সবজির প্রতি আগ্রহ বাড়াতে হবে।
২. প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য কেনার সময় লেবেলে সোডিয়ামের পরিমাণ দেখে নিন। অর্গানিক, প্রাকৃতিক বা গ্লুটেন-ফ্রি এমন অনেক খাবারে দেখবেন প্রচুর পরিমাণে সোডিয়ার রয়েছে। এগুলো এড়িয়ে যান।
৩. কম পরিমাণ সোডিয়ামযুক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারে যে আসলে খুব কম সোডিয়াম থাকে তা নয়। অন্যগুলোর চেয়ে মাত্র ২৫ শতাংশ কম থাকে। তাই এগুলো কেনার সময় সাবধান থাকতে হবে।
৪. খাবারে সোডিয়াম বৃদ্ধিতে লবণ নয়, অন্যান্য মসলা ও হার্বাল উপকরণ ব্যবহার করুন।
৫. শিশুর প্রিয় সোডিয়ামপূর্ণ খাবার থেকে তাদের ধীরে ধীরে সরিয়ে আনার চেষ্টা করুন। (সূত্র : ফক্স নিউজ )
শেয়ারবাজারনিউজ/অ