আজ: মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪ইং, ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১০ জুলাই ২০১৫, শুক্রবার |

kidarkar

কচ্ছপের শোকে ম্যানেজারকে গুলি!

kim-jonশেয়ারবাজার ডেস্ক: এবারও নৃশংসতা খুন, এবারও উত্তর কোরিয়া। তবে এবার ক্ষমতার জন্য নয়, প্রিয় কচ্ছপের জন্য। কচ্ছপের এক বিশেষ প্রজাতি (টেরাপিন)-র যত্ন ঠিক মতো না হওয়ায় উত্তর কোরিয়ায় এ বার প্রাণ গেল এক খামারের ম্যানেজারের। একনায়ক কিম জং উনের জমানায় হত্যালীলা নতুন কিছু নয় বলেই দাবি বিরোধীদের।

মে মাসের মাঝামাঝি তিয়াডংগং টেরাপিন খামার ঘুরে দেখতে গিয়েছিলেন কিম। বাবার ইচ্ছেতে কয়েক বছর আগে তিনিই তৈরি করেন ওই খামারটি। শাসককে নিজেদের কীর্তি ঘুরিয়ে দেখাতে নিজেই এগিয়ে এসেছিলেন সেখানকার অধিকর্তা। কিন্তু বিপত্তি বাধে কিছু ক্ষণ পরেই।

খামারে প্রিয় টেরাপিনদের দেখে মুখে হাসি ফোটেনি কিম জংয়ের। বরং খাবার না পেয়ে কয়েকটি ছোট কচ্ছপ মারা গিয়েছে শুনেই মেজাজ হারান তিনি। অধিকর্তা বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ মাঝে মাঝে চলে যায় বলেই খাবার, জলের জোগানে টান পড়ে।

বড় টেরাপিন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারলেও ছোটদের উপর এর প্রভাব পড়েছে বেশি। কিন্তু সে সব যুক্তি কানেই তোলেননি কিম। কর্মীদের উপর রেগে চিৎকার করছেন, শাসকের সেই উত্তেজিত ছবি বেরিয়েছিল স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ায় এক সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, কেবল বকাঝকাতেই মেটেনি শাসকের রোষ। তিনি বেরোনোর পরই গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় তিয়াডংগং খামারের ম্যানেজারের শরীর।

এ নিয়ে বিশদ আর কিছুই জানার উপায় নেই। কারণ উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমে এই খবর ঠাঁই পায় না। আর দক্ষিণ কোরিয়ার সূত্রে মেলা খবর সত্যি কিনা তা যাচাইয়েরও কোনও উপায় নেই।

বিরোধীদের অবশ্য দাবি, নিজের কাকাকে যিনি কুকুর লেলিয়ে খুন করতে পারেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে যিনি ফায়ারিং স্কোয়াডের মুখে ঠেলে দেন— প্রত্যাশা পূরণ না করার অপরাধে মেরে ফেলার ফতোয়া তো তাঁর কাছে কিছুই নয়। দক্ষিণ কোরিয়ার হিসেব বলছে, কিমের রোষানলে প্রায় ৭০ জন সরকারি কর্মীর প্রাণ গিয়েছে গত দু’বছরে।

 

শেয়ারবাজারনিউজ/অ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.