পুঁজিবাজার নিয়ে যে আশ্বাস দিলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান
শেয়ারবাজার রিপোর্ট:পুঁজিবাজারে চলমান বাধা দূর করতে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে ) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ত্রিপক্ষীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) এর উদ্যোগে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
সংলাপে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সব বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। তিনি আশ্বস্ত করেছেন দেশের শেয়ারবাজার স্তিতিশীল করতে সহসাই সব সমস্যা সমাধান হবে।
সিএমএসএফ আয়োজিত সংলাপে বিএসইসি ও বিএপিএলসির প্রতিনিধিরা অংশ নেয়।
আলহামদুলিল্লাহ
এই সব অনেক শুনছি। এর আগে প্রধান মন্ত্রী সহ বসার কথা ছিলো। কিন্তু তিনি ৬ দিনের সফরে মালদ্বীপ চলে গেলেন। এর পর আর বসা হলো না। এখন বাজারের দুরাবস্থা চলছে। এখন যদি তাড়াতাড়ী প্রধান মন্ত্রী মহোদয় এই গুলো সমাধান করেন। এ ছাড়া আর কোনো পথ নেই।
ICB বিএসইসি কর্তৃক ঘোষিত ১:১ অনুপাত মার্জিন ঋণের পরিবর্ত এখনও ১:০.৫ অনুপাত বহাল রেখেছে। সরকারী প্রতিষ্ঠানই বিএসইসির নির্দেশ মানছে না, তা হলে মার্কেট কিভাবে ভাল হবে আশা করা যায়।
আমাদের দেশে,সেই,মেয়ে,কবে,হবে,কথায়,না,বড়,হয়ে,,,,,,, কাজে,বড়,হবে,,,, ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, শেয়ার বাজার,নিজের,গতিতে,চলবে,, শত,,করা১০,টাকাবারবে,,-শতকরা১০টাকাকমবে
আপনার নিকট একটাই ট্রাম কার্ড আছে যে, পুঁজিবাজারে চলমান বাধা দূর করতে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, বা সকল বাধা দূর করতে যা যা করা দরকার তা করবেন। যখনি বাজার খারাপ হয় তখনি আপনার নিকট থেকে এই কথা শুনি। জনগণকে আর কত ধোকা দিবেন। কি কি করা দরকার তার লিস্ট করে জনগণকে জানান, যে সরকারের এই অসহযোগিতার কারনে শেয়ার বাজার খারাপ হচ্ছে। নিজেদের অক্ষমতাকে অন্নের ঘারে চাপাবেন না।
শিবলী স্যার এবং তার কমিশনগন অনেক শিক্ষিত এবং যোগ্যতা সম্পন্ন। তাদের যোগ্যতার সামান্য কিছুও দিয়েছে বলে আমার মনে হয়না। শিবলী স্যার এবং তার কমিশনগন শেয়ার বাজারের প্রতি সুনজর দিলে, ভবিষ্যতে এদেশ অনেকদুর এগিয়ে যাবে এবং প্রধানমন্ত্রীও অনেক সম্মানিত হবে। বর্তমান বিএসইসি একটি বিশ্বমানের শেয়ার বাজার উপহার দিতে পারবে, কারন তাদের মাথার উপর প্রধানমন্ত্রীর ছায়া আছে। আশা করছি প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর ছায়া আমাদের সাথে আছে, সুতরাং এই শেয়ার বাজার স্হীতিশীল হবে। ভালো একটা শেয়ার বাজার আমাদের উপহার দিন। আমরা ভালোভাবে বাঁচতে চাই। আমাদের বাঁচান——
বৈশ্বিক কারণ সহ অনেক কিছুই শেয়ার বাজারের এ অবস্থার জন্য দায়ী।আমরা আশাবাদী সামনে কিছুটা হলেও বাজার ভাল থাকবেন।
প্রায় ২০ কোটি মানুষের দেশের পুঁজিবাজার এতো দুর্বল হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। পৃথিবীর আর কোন দেশ প্রায় ছয়মাস ধরে এরকম নেতিবাচক অবস্থা আছে কিনা সন্দেহ আছে। এখানে সাধারন বিনিয়োগকারীরা বারবারই মার খাচ্ছে একএকবার একএক গেমলার সিন্ডিকেটের কাছে অথচ এসবের কোন সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে বাস্তবায়ন হয়নি। বিশেষ করে একটু খারাপ পরিস্থিতি হলেই অমনি সরকারি ও বড় স্টাকহোলডারেরা দ্রুত তাদের শেয়ার বিক্রি করে বসে থাকে! এমতাবস্থায় ক্রেতা সমস্যায় বাজার আরও পড়তে থাকে আর আপনারা বলতে থাকেন ঠিক হয়ে যাবে ঠিক যাবে! এই আশায় ছোট বিনিয়োগকারীর অপেক্ষা করতে করতে আশাহত অনেকে নিরবে বাজার ছেড়ে চলে যায়। আশাকরি এবার সবকিছু নিয়মাতান্ত্রিক চলবে এবং কঠোর শাস্তি বিধানে কোন নমনীয় বা ছাড় হবেনা। সেই সাথে অনুরোধ পূর্বক জানতে চাই কেন কেন ক্যাশ ডিভিডেন্ট ও স্টোক ডিভিডেন্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পূর্বে ঘোষণা দেয়া হয়!? আবার একই বছরের ক্যাশ ও স্টোক অনুমোদন আলাদা সময়ে দেয়া হয়!? এরফলে বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সর্বোপরি প্রতিষ্ঠান ২৫/৩০ লাভ করা সত্ত্বেও শেয়ারহোল্ডারদের ৫/১০% দেওয়ার কি কোন নৈতিক ভিত্তি আছে? এটা কোন ধরনের আইন? এমন আইন বলবৎ রেখে কেন বিভিন্ন কোম্পানিদের শেয়ার আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়?
Ok
আশ্বাস নয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ শেয়ার বাজারের নীতি নির্ধারক সবাই একত্রে বসে স্থায়ী সমাধান করা জরুরী।