আজ: মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২১ জুলাই ২০১৫, মঙ্গলবার |

kidarkar

২৪৮ রানে অল-আউট দক্ষিণ আফ্রিকা

Test

শেয়ারবাজার ডেস্ক: প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষ হওয়ার আগে দ. আফ্রিকা ২৪৮ রানেই গুটিয়ে যায়। মুস্তাফিজুর রহমান, জুবায়ের হোসেন, মোহাম্মদ শহীদদের বোলিং তোপে প্রোটিয়ারা ৮৩.৪ ওভার ব্যাট করতে সক্ষম হয়।

টাইগারদের হয়ে চারটি উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজ। আর তিনটি উইকেট দখল করেন জুবায়ের হোসেন। এছাড়া সাকিব, মাহামুদুল্লাহ, তাইজুল একটি করে উইকেট পান।

দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে সকাল সাড়ে নয়টায় মাঠে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ এবং সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে এ ম্যাচে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন দ. আফ্রিকার অধিনায়ক হাশিম আমলা।

দিনের শুরুতে টাইগার বোলারদের উইকেটের অপেক্ষায় রেখে ব্যাট করে চলেন দ. আফ্রিকার হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নামা ১৬ টেস্ট খেলা ডিন এলগার এবং চার টেস্ট খেলা স্টিয়ান ভ্যান জিল। তবে, ইনিংসের ১৪তম ওভারের চতুর্থ বলে মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ প্রোটিয়া শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন।

নিজের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে মাহামুদুল্লাহ ফিরিয়ে দেন স্টিয়ান ভ্যান জিলকে। ৩৪ রান করা ভ্যান জিলকে উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি করেন মাহামুদুল্লাহ। আউট হওয়ার আগে তিনি ৪৯ বল মোকাবেলা করেন।

দলীয় ৫৮ রানের মাথায় প্রথম উইকেট খোয়ানো দ. আফ্রিকা বেশ সতর্ক থেকে প্রথম দিনের প্রথম সেশন পার করে। প্রথম সেশনের ২৮ ওভার শেষে এক উইকেট হারিয়ে তারা ১০৪ রান সংগ্রহ করে। দিনের প্রথম সেশনে টাইগার বোলারদের হয়ে একমাত্র সাফল্য পান মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ। তবে, দ্বিতীয় সেশনে উইকেট না পেলেও দুই প্রান্ত থেকে বোলিংয়ে বেশ ভালোই করেন মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ শহীদ আর জুবায়ের হোসেন।

এরপর তাইজুল, সাকিবের ঘূর্ণিতে সাজঘরে ফেরেন এলগার-প্লেসিস। ৪৭তম ওভারে এসে আবারো টাইগার দলে সাফল্যের দেখা মেলে। তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে উইকেটের পেছনে লিটন দাশের গ্লাভসবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন ডিন এলগার। আউট হওয়ার আগে তিনি ১১১ বল মোকাবেলা করে ৪৭ রান করেন।

পরের ওভারেই সাকিব আল হাসান ফেরান ৪৮ রান করা ফাফ ডু প্লেসিসকে। ১২২ বল মোকাবেলা করা প্লেসিস সাকিবের দারুণ এক ঘূর্ণিতে এলবির ফাঁদে পড়েন। এলগারকে সঙ্গে নিয়ে প্লেসিস জুটি গড়েন ৭৮ রান।

দ্বিতীয় সেশন থেকে প্রোটিয়ারা তোলে মাত্র ৬১ রান আর টাইগার বোলাররা তুলে নেয় আরও দু’টি উইকেট। তিন বলের ব্যবধানে দুই সেট ব্যাটসম্যান ফাফ ডু প্লেসিস আর ডিন এলগারকে হারিয়ে হাশিম আমলা আর টেমবা বাভুমা জুটি গড়ার চেষ্টা করেন।

দিনের তৃতীয় সেশনে নেমে আমলাকে ফেরান মুস্তাফিজ। দলীয় ৬০তম ওভারে উইকেটরক্ষক লিটনের তালুবন্দি করে হাশিম আমলাকে ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজ। পরের বলেই ডুমিনিকে ফিরিয়ে দেন এ কার্টার মাস্টার। অভিষেকে হ্যাটট্রিক মিস করলেও এক বল পরেই কুইন্টন ডি ককের স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেন মুস্তাফিজ। ফলে, দলীয় ১৭৩ রানের মাথায় সফরকারীদের ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে।

আউট হওয়ার আগে প্রোটিয়া দলপতির ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১৩ রান। মুস্তাফিজের বলে এলবির ফাঁদে পড়ে কোনো রান না করেই ফেরেন ডুমিনি। আর বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ডি ককও রানের দেখা পান নি।

ইনিংসের ৭১তম ওভারের পঞ্চম বলে ভারনন ফিল্যান্ডার জুবায়েরের বলে খোঁচা মারতে গিয়ে স্লিপে দাঁড়ানো সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। তার ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান।

এরপর ইনিংসের ৮০তম ওভারে জুবায়েরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিকারে সাজঘরের পথ ধরেন সিমন হারমার ও ডেল স্টেইন। ৯ রান করে জুবায়েরের বলে মুমিনুলের তালুবন্দি হন হারমার। একই ওভারে তামিমের তালুবন্দি করে স্টেইনকে ফেরান জুবায়ের।

মাত্রই তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা টেমবা বাভুমার ব্যাটে প্রোটিয়াদের রানের চাকা এগুতে থাকে। ক্যারিয়ার সেরা রান করে টাইগার বোলারদের অপেক্ষায় রাখেন ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান। মুস্তাফিজের চতুর্থ শিকারে ফেরার আগে তিনি ৫৪ রান করেন।

এ ম্যাচের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে সাদা পোষাকে অভিষেক হয় টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডের চমক মুস্তাফিজুর রহমানের। প্রথম টেস্টের একাদশে জায়গা হয়নি সৌম্য সরকার, নাসির হোসেন ও রুবেল হোসেনের।

এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ের ভিত্তিতে ৪টি সিরিজে মোট ৮টি টেস্ট খেলেছে। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সবগুলো টেস্টেই বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ। তবে, এবার সাদা পোষাকে নিজেদের সেরাটা দিয়ে সফরকারীদের বিপক্ষে ভাল করতে চায় টাইগাররা।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), তাইজুল ইসলাম, জুবায়ের হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ শহীদ।

দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: ডিন এলগার, ফাফ ডু প্লেসিস, হাশিম আমলা (অধিনায়ক), জেপি ডুমিনি, কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), স্টিয়ান ভ্যান জিল, ভারনন ফিল্যান্ডার, সিমন হারমার, মরনে মরকেল, ডেল স্টেইন ও টেমবা বাভুমা।

 

শেয়ারবাজারনিউজ/অ/মু

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.