আজ: রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩০ মে ২০১৬, সোমবার |

kidarkar

মিশরে সাগরের নিচে হারিয়ে যাওয়া শহরের সন্ধান!

Egypt 2শেয়ারবাজার ডেস্ক: সেই আদিকালে হারিয়ে গিয়েছিল যেসব শহর সেগুলোর সন্ধান পাওয়া গেছে। ভূমধ্যসাগরের তলদেশে মিশরের হারিয়ে যাওয়া দুটি বড় শহরের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে পাওয়া গেছে দেবতা এবং রানির মূর্তিসহ নানা ধরনের অনেক প্রত্ন নিদর্শনও। লন্ডনের এক প্রদর্শনীতে ‘মিশরের হারানো পৃথিবী’ শিরোনামে এর নিদর্শন সমূহ দেখানো হচ্ছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।

আজকের কথা নয়, সেই ৮০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে সমুদ্রের করাল গ্রাসে তলিয়ে যায় এই শহর দুটি। সম্প্রতি তা খুঁজে পান প্রত্নতাত্ত্বিকরা। সেখানেই আবিষ্কৃত হয়েছে নীল নদে বন্যার দেবতা হ্যাপির মূর্তি।

সমুদ্রের তলদেশ থেকে পাওয়া গেছে, দুইশোর বেশি মূর্তি, হায়ারোগ্লিফিক শিলালিপি, ধাতব এবং ফারাও রাজাদের স্বর্ণালঙ্কার। পুরাতাত্ত্বিকরা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছেন তলিয়ে যাওয়া শহর দুটি হলো- হেরাক্লিওন বা থনিস এবং ক্যানোপাস। যে শহরগুলোতে মিশ্রতা ঘটেছিল গ্রীক ও মিশরীয় সভ্যতার।

সংবাদ মাধ্যমকে প্রদর্শনীর প্রধান কিউরেটর অরেলিয়া ম্যাসন বার্গফ বলেন, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সভ্যতায় সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটে থাকে। তবে রানি আর্সিনো দ্বিতীয়’র এই মূর্তির সাজ পোশাকে গ্রীক এবং মিশরীয় সভ্যতার যে পরিষ্কার নমুনা দেখতে পেয়েছি সেটি পূর্বে কখনও দেখিনি।

জানা যায়, ১৯৯৬ সালে মিশরের পুরাতত্ত্ব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে হারানো শহর অনুসন্ধানে মূল ভূমিকা রাখেন, ইউরোপীয়ান ইন্সটিটিউট অব আন্ডারওয়াটার আর্কিওলজির পরিচালক ফ্র্যাঙ্ক গডিও। সেই থেকে শুরু করে ২০১২ সাল পর্যন্ত সমুদ্রের তলদেশ খননে বের হতে থাকে নানা ধরনের প্রত্নবস্তু।

এ বিষয়ে ইন্সটিটিউট অব আন্ডারওয়াটার আর্কিওলজি পরিচালক ফ্র্যাঙ্ক গডিও বলেছেন যে, ‘পানির নিচে থাকার কারণে এসব সম্পদ খুব একটা নষ্ট হয়নি। আমার কাছে মনে হয় পানির নিচে যা রয়েছে, আমরা তার মাত্র ৫ শতাংশ খনন করতে পেরেছি। আরও বহু আবিষ্কার এখনও বাকি রয়েছে।’

 শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.