পাকিস্তান জীবিত পাঠালেও ভারত দিয়েছে লাশ
শেয়ারবাজার ডেস্ক: মানসিক প্রতিবন্ধী এক নারী সীমান্ত পার হয়ে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে পড়েছিলেন। আর সঙ্গে সঙ্গেই তাকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। জম্মু-কাশ্মীরের আখনুর সীমান্তে বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম রশিদা বিবি। তার বয়স ৫৩ বছর। বাড়ি পাকিস্তানের শিয়ালকোটের দিওয়ারা গ্রামে।
পাক বাহিনীর দাবি, ওই নারী মানসিক প্রতিবন্ধী। ভুলবশত সীমান্ত পার হয়ে তিনি ভারতে ঢুকে পড়েছিলেন।
তবে বিএসএফের দাবি, জওয়ানরা তাকে থামার নির্দেশ দেয়। কিন্তু নির্দেশ উপেক্ষা করেই ভারতের মাটিতে আরো ঢুকে পড়েন ওই পাকিস্তানি নারী। এরপর গুলি চালায় বিএসএফ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। শুক্রবার পাক-ভারত সীমান্তরক্ষীদের পতাকা বৈঠকে ওই নারীর লাশ পাকিস্তান রেঞ্জার্সের কাছে ফেরত দেয়া হয়।
এর আগে জম্মু-কাশ্মীরের উরি এলাকার নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়েছিলেন ৫৫ বছরের এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারী। পাক সেনার হাতে আটক দিশাহারা ওই নারী নিজের পরিচয়টুকুও জানাতে পারেননি। সময়টা ২০১৬ সালের অক্টোবর। তার দিন কয়েক আগেই উরি হামলার ঘটনায় তোলপাড় পাক-ভারত। তবুও হারিয়ে যায়নি মানবিকতা। চার মাস পর সেই নারীকে ভারতে ফিরিয়ে দিয়েছে পাক সেনা। সঙ্গে নতুন পোশাক আর মিষ্টি।
বছর দেড়েক আগে পাক-ভারত সরকারের যৌথ প্রচেষ্টায় পাকিস্তানে হারিয়ে যাওয়া মূক-বধির মেয়ে গীতা ফিরেছিলেন ভারতের বিহারে, নিজের বাড়িতে। তবে গত বছর পঠানকোট, উরিতে একের পর এক হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। কিন্তু নতুন বছরের শুরুতেই চারশতাধিক বন্দি ভারতীয় মৎস্যজীবীদের মুক্তি দিয়েছে পাকিস্তান।
সব মিলিয়ে পাকিস্তান মানবিকতার নজির দেখালেও প্রতিদান হিসেবে লাশ পাঠালো ভারত।
শেয়ারবাজারনিউ/মা