ট্যানারি স্থানান্তর না করলে আইনি ব্যবস্থা
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ট্যানারি স্থানান্তর না করলে আইনি ব্যবস্থায় নেয়া হবে। শুধু সীমানা প্রাচীর আর গার্ডসেড নির্মাণ করে চামড়া শিল্পনগরীতে বরাদ্দকৃত প্লটের মালিকানা রক্ষা করা যাবে না। যেসব মালিক ট্যানারি স্থানান্তরের নামে এ ধরনের কাজ করছে শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বৃহস্পতিবার সাভার চামড়া শিল্পনগরী পরিদর্শন শেষে ট্যানারি মালিক, নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে সাংসদ ডা. মো. এনামুর রহমান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ফরহাদ উদ্দিন, বিসিক চেয়ারম্যান আহমদ হোসেন খান, চামড়া শিল্পনগরী প্রকল্পের পরিচালক মো. সিরাজুল হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘চামড়া শিল্প বাংলাদেশের একটি উদীয়মান শিল্পখাত। এখাতে তৈরি পোশাকের চেয়েও অধিক পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ আছে। রপ্তানি বাণিজ্যে আমাদের প্রতিযোগিরাই বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলে নেতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছে। তাই এ খাতের রপ্তানির সুযোগ কাজে লাগাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ট্যানারি স্থানান্তরের জন্য মালিকদের পরামর্শ দেন তিনি।’
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে চামড়া শিল্পনগরীতে স্থাপিত কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার আংশিক চালু হবে। এর মাধ্যমে সিইটিপির মোট পরিশোধন ক্ষমতার শতকরা ২৫ ভাগ ব্যবহার করা সম্ভব হবে। এসময়ের মধ্যেই যেকোনো মূল্যে এটি শতকরা ৫০ ভাগে উন্নীত করতে শিল্পমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান দ্রুত কাজ শেষ করলে তাদের অর্থ সময়মতোই পরিশোধ করা হবে বলেও শিল্পমন্ত্রী আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে বরাদ্দ প্রাপ্ত ১৫৫টি শিল্প ইউনিটের মধ্যে ১৫২টি কারখানা লে-আউট প্ল্যান দাখিল করেছে। ইতোমধ্যে সবগুলো লে-আউট প্ল্যানের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
১৪৯টি শিল্প ইউনিট সাইটে নির্মাণ সামগ্রীর মজুদসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শুরু করেছে। এর মধ্যে ৯১টি শিল্প ইউনিট পাইলিংসহ নির্মাণের মূল কাজ শুরু করেছে। এছাড়া ২৮টি শিল্প ইউনিট সীমানা প্রাচীর ও গার্ডসেড নির্মাণ, ২৫টি শিল্প ইউনিট শুধু সীমানা নির্মাণ এবং পাঁচটি ইউনিট শুধু গার্ডসেড নির্মাণ শেষ করেছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/তু