রাগের ক্ষোপে আকরাম!
শেয়ারবাজার ডেস্ক: পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা পুড়ছে। বাংলাদেশের কাছে সিরিজ হার মানতে পারছেন না কেউই। ওয়ানডে সিরিজে ‘বাংলাওয়াশের’ পর টি-টোয়েন্টিতেও হারটা ঘিয়ে আগুন ঢেলেছে যেন। পুড়ছেন সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরামও। খেলোয়াড়দের চেয়ে তাঁর ক্ষোভটা অবশ্য পিসিবির কর্তাদের ওপর বেশি। বোর্ড কর্তাদের রীতিমতো একহাতই নিলেন এ কিংবদন্তি, ‘পাকিস্তানে ক্রিকেটের কোনো অবকাঠামো নেই। কেউ গড়ে তোলার চেষ্টাও করছে না। খুব খারাপ লাগছে এই হাল দেখে। আমাদের হাতে বড় কোনো ক্রিকেটার নেই। যারা আছে, তাদেরই খেলাচ্ছি। কিন্তু আমাদের ক্রিকেট প্রশাসকদের মনোভাব দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি।’
বিশ্বকাপের পর মিসবহ-উল হক, শহীদ আফ্রিদিদের ওয়ানডে থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রভাব ভালোভাবে পড়েছে তরুণ দলটার ওপর। ঘুরে দাঁড়াতে নতুনদের সময় লাগবে। কিন্তু তাঁদের গড়ে তোলার দায়িত্ব যে কর্তাদের, তাঁদের খামখেয়ালিতে বিরক্ত আকরাম। উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়েও দিলেন টেস্টে ৪১৪ আর ওয়ানডেতে ৫০২ উইকেট নেওয়া সাবেক এ অধিনায়ক, ‘গত অক্টোবরে ছিল পাকিস্তানের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। সেই ম্যাচগুলো হয়েছে সকাল ৮টায়! ভাবতে পারেন সকাল ৮টায়। কেননা পিটিভি চ্যাম্পিয়নস লিগ দেখাবে বলে ঘরোয়া ম্যাচগুলো দেখাতে চেয়েছিল সকালে আর রাত ৯টার পর। পিসিবি সেটা মেনেও নিয়েছে। রাতে শুরু হওয়া ম্যাচগুলো চলেছে ২টা পর্যন্ত! পুরো প্রহসন চলছে যেন। ইন্তিখাব আলমের হাতে দায়িত্ব ঘরোয়া ক্রিকেট চালানোর। তাঁকে প্রশ্ন করারও কেউ নেই।’
ভারতের আইপিএল, অস্ট্রেলিয়ার বিগব্যাশ বা বাংলাদেশের বিপিএলে উপচে পড়া ভিড় থাকে দর্শকদের। সেখানে পাকিস্তানের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ হয়েছে ফাঁকা গ্যালারিতে। এ জন্যও কর্তাদের দুষলেন ১৯৯২ বিশ্বকাপ ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়, ‘কোনো চিন্তাভাবনা না করে টুর্নামেন্টটা করল করাচিতে। অথচ ফয়সালাবাদ বা শিয়ালকোটে হলে জায়গা দেওয়া যেত না দর্শকদের। কে ভাববে এসব? নিয়ম-কানুনের ধার ধারব না আর সব ম্যাচ জিততে চাইব, তাহলে হবে কিভাবে?’ আকরাম মানতে পারছেন না ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে মঈন খানকে বাদ দিয়ে প্রধান নির্বাচক হিসেবে হারুন রশিদকে নিয়োগ দেওয়াটাও, ‘২০ বছর ধরে বোর্ডে আছেন হারুন, কিছুই তো করতে পারেননি এত দিন। নতুন লোক না আনলে নতুন ভাবনা আসবে কোথা থেকে?’
শেয়ারবাজারনিউজ/রা