বড় পতন ঘটতে দেয়নি প্রাতিষ্ঠানিকরা
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় টানা ৫ কার্যদিবস পতনে বিরাজ করছে বাজার। এইদিন শুরু থেকেই সেল প্রেসারে সূচক ১১৭ পয়েন্ট কমলেও ২৫ মিনিট পর প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আগ্রহে বড় পতন হয় নি বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। সোমবার সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আজ দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৪০ কোটি টাকা।
এ প্রসঙ্গে একাধিক মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আজকের বাজারে শুরু থেকেই বাজারে ব্যাপক সেল প্রেসার লক্ষ্য করা গেছে। তবে দিনভর এ ধারা বিদ্যমান থাকলেও প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আগ্রহে বড় পতন হয় নি বাজারে। যা নিয়ে সবমহলই আশাবাদী হয়ে উঠেছেন বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
আজ দিন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫৮৬৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ০.০০৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৩৭৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ০.২৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২১৯১ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৩৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১১টির, কমেছে ১৮৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৪৪০ কোটি ৪২ লাখ ৮১ হাজার টাকা।
এর আগের কার্যদিবস অর্থাৎ রোববার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৫৮৮৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৩৭৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৩৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ২১৯১ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৩৬৪ কোটি ৯০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৭৫ কোটি ৫১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা।
এদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএসইএক্স ৫৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১০ হাজার ৯৫২ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২২৪টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৬টির, কমেছে ১৩৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৮৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু