বাজেট নিয়ে ডিএসইর প্রতিক্রিয়া
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ঘিরে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। প্রস্তাবিত বাজেটে বাজারে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হবে এবং জাতীয় অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে। বেসরকারিখাতের শিল্পোদ্যোক্তারা তাদের কোম্পানির জন্য পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে আগ্রহী হবে। এতে শিল্পখাত আরো শক্তিশালী ও বিকশিত হয়ে দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হবে, যা দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরো বেশি আকৃষ্ট করবে বলে মনে করেন ডিএসই।
বৃহস্পতিবার বাজেট প্রস্তাবের পর ডিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় অর্থমন্ত্রী জনাব আবুল মাল আবদুল মুহিত আজ ৪ জুন, ২০১৫ তারিখে মহান জাতীয় সংসদে নবম বারের মত বাজেট পেশ করেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের টানা দুই মেয়াদে সপ্তম বারের মত ডিজিটাল পদ্ধতিতে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের জন্য “সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ উচ্চ প্রবৃদ্ধির পথ রচনা” শিরোনামে বাজেট পেশ করায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের পক্ষে ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার বালা, এফসিএমএ মাননীয় অর্থমন্ত্রীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও স্বাগত জানাচ্ছে। বাজেটে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে শিল্পায়ন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে যুগোপযোগী বাজেট পেশ করায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদ মাননীয় অর্থমন্ত্রী জনাব আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং বাংলাদেশ সরকারকে বিশেষ সাধুবাদ জানাচ্ছে। বিশেষতঃ পুঁজিবাজারকে সম্প্রসারিত ও গতিশীল করার জন্য পুঁজিবাজারের প্রতি সরকারের বিশেষ গুরুত্বারোপকে ডিএসই বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছে। পুঁজিবাজারকে ঘিরে সরকারের এই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাবের কল্যাণে দেশের শিল্পায়নের গতি তরান্বিত হওয়ার মাধ্যমে পুঁজিবাজার আরও বেশি কার্যকরি ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাজেট বক্তব্যে দেশের পুঁজিবাজারের বিষয়ে উল্লেখকৃত বিষয়সমূহ হলো-
পুঁজিবাজারের স্বচ্ছতা ও স্থিতিশীলতা আনয়নে এক্সচেঞ্জেস ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন ২০১৩ এর আওতায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা হতে ট্রেডিং রাইটসকে নভেম্বর ২০১৩-এ পৃথক করা হয়েছে। সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশন্স এর ‘এ’ ক্যাটাগরির পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ লাভ করেছে।
পুঁজিবাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আরও কোম্পানিকে আকৃষ্ট করতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করের হার ৪২.৫০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
একইসঙ্গে পাবলিকলি ট্রেডেড ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানির করহার ২৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানি কি হারে লভ্যাংশ ঘোষণা করলো তার ওপরে করহারের কোন হেরফের হবে না।
ষষ্ঠ তফসিলের পার্ট-এ-র ১১এ অনুচ্ছেদ অনুসারে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হতে প্রাপ্ত নগদ লভ্যাংশ আয়ের উপর করমুক্ত সীমা ২০ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়াও কোম্পানি বা অংশীদারী ফার্ম কর্তৃক পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ হতে অর্জিত মূলধনী মুনাফার ওপর বিদ্যমান আইনে ১০ শতাংশ হারে গত বছর থেকে ৫৩ ও ধারায় উৎসে কর কর্তনের বিধান আছে; এই বিধান প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে উক্ত কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় বলবৎ থাকবে।
বন্ড মার্কেট উন্নয়নের স্বার্থে ট্রেজারি বন্ড এবং ট্রেজারি বিলের সুদের ওপর ৫১ ধারার অধীনে ক্রয়কালেই উৎসে ৫ শতাংশ হারে কর কর্তনের বিধান প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ আশা করে যে, সরকারের ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য যে সমস্ত প্রস্তাবাদি রাখা হয়েছে তাতে বাজারে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হবে এবং জাতীয় অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে। বেসরকারিখাতের শিল্পোদ্যোক্তারা তাদের কোম্পানির জন্য পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে আগ্রহী হবে, এতে শিল্পখাত আরো শক্তিশালী ও বিকশিত হয়ে দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হবে, যা দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরো বেশি আকৃষ্ট করবে।
শেয়ারবাজারনিউজ/সা/মু