চূড়ান্ত বাজেটে আরও ৬ ইস্যুর বাস্তবায়ন চায় ডিএসই
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: প্রস্তাবিত বাজেট পুুজিবাজারবান্ধব হয়েছে। কিন্তু যে বিষয়গুলো বাজেট বক্তৃতায় আসেনি অথচ জরুরি এমন ৬টি বিষয় উল্লেখ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। বিষয়গুলো হলো: ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী স্টক এক্সচেঞ্জের কর অবকাশ পাঁচ বছরের প্রতিটির জন্য ১০০ শতাংশ হারে প্রদান করা,ফাইন্যান্সিয়াল রিপোটিং অ্যাক্ট বাস্তবায়ন,স্ট্যাম্প ডিউটি যা প্রতিবাদ মূল্যের ১.৫ শতাংশ হারে প্রযোজ্য সকল অ-জড় সিকিউরিটির ক্ষেত্রে বাদ দেয়ার প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন,বন্ড মার্কেট উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রদত্ত উৎসে কর উৎসে কর্তন থেকে বাদ দিয়ে অ্যাসেসমেন্ট ভিত্তিক আরোপিত করা,তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ বা এর বেশি লভ্যাংশ প্রদানের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ আয়কর রেয়াত বহাল এবং ব্যাংক,বীমা ব্যতীত তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে কমপক্ষে ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ না দিলে বন্টিত মুনাফার উপর ৫ শতাংশ হারে অতিরিক্ত কর দিতে হবে।
রোববার ডিএসইতে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখিত বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার বালা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট পুঁজিবাজার বান্ধব হয়েছে। এই বাজেট পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু যে বিষয়গুলো বাজেট বক্তৃতায় আসেনি অথচ জরুরি সেগুলো হলো:
০১. ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী স্টক এক্সচেঞ্জকে যে পাঁচ বছর মেয়াদী ক্রমহ্রাসমান হারে কর অবকাশ সুবিধা দেয়া হয়েছে,তাতে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছর হতে স্টক এক্সচেঞ্জকে কর দিতে হবে। ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কীমের আওতায় স্টক এক্সচেঞ্জের যে সংস্কার চলছে তা চলমান রাখতে এবং পুঁজিবাজারের অবকাঠামোগত বিনিয়োগ সক্ষমতা ধরে রাখার জন্য উক্ত কর অবকাশ সংশ্লিষ্ট পাঁচ বছরের প্রতিটির জন্য ১০০ শতাংশ হারে প্রদান করা।
০২.ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন জাতীয় সংসদের গত অধিবেশনে উপস্থাপিত হলেও এখনো আইনটি পাস হয়নি। আইনটি পাস হওয়া এবং তার অধীনে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল গঠন ও বাস্তবায়ন পুঁজিবাজারে তথ্য সরবরাহে স্বচ্ছতা ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করবে। তবে প্রস্তাবিত অর্থবিল এ ফেক অডিট রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্য ১২৯বি ধারার অধীনে জমাদানকারী কোম্পানি করদাতাকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান করা হয়েছে এবং ১৬৫এএ ধারার অধীনে কমপক্ষে ৩ মাস ও সর্বোচ্চ ৩ বছর জেল অথবা সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা জরিমানা বা জেল-জরিমানা দুটোই হতে পারে। ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং এর মান উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
০৩. স্ট্যাম্প ডিউটি যা প্রতিদান মূল্যের ১.৫ শতাংশ হারে প্রযোজ্য সকল অ-জড় সিকিউরিটির ক্ষেত্রে বাদ দেয়ার প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন করা (বর্তমানে এটি অ-জড় তালিকাভুক্ত শেয়ার ও ডিবেঞ্চারের ক্ষেত্রে অব্যাহতি আছে।)
০৪. বন্ড মার্কেটের উন্নয়নের দ্বিতীয় একটি বাঁধা হল ৫৩বিবিবি ধারার অধীনে ট্রেকহোল্ডারদের লেনদেন ভিত্তিক ০.০৫ শতাংশ হারের উৎসে কর। এটিও উৎসে কর্তন থেকে বাদ দিয়ে অ্যাসেসমেন্ট ভিত্তিক আরোপিত হওয়া দরকার।
০৫. পুঁজিবাজারের স্বার্থে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ বা এর বেশি লভ্যাংশ প্রদানের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ আয়কর রেয়াত বহাল রাখা।
০৬. তালিকাভুক্ত ইন্ডাষ্ট্রিয়াল কোম্পানির হ্রাসকৃত করহার পেতে পূর্বে কমপক্ষে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার এবং ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করার একটি শর্ত ছিল,যা এখন তুলে নেয়া হয়েছে। কিন্তু ১৬বি ধারা অনুসারে,ব্যাংক ও বীমা ব্যতীত অন্য তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে কমপক্ষে ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ না দিলে অবন্টিত মুনাফার উপর ৫ শতাংশ হারে অতিরিক্ত কর দিতে হবে।
শেয়ারবাজারনিউজ/সা