পিকে হালদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারায় হাইকোর্টের ক্ষোভ প্রকাশ
শেয়ারবাজার রিপোর্টঃ প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ নিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার আগে প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাই কোর্ট।
দুদক প্রসঙ্গে আদালত বলেন, পি কে হালদারের বিষয়ে আমরা আদেশ দিলাম সেই কবে। আর জানুয়ারিতে এসে দুদক বললো, পি কে হালদার পালিয়ে গেছে।
আদালত বলেন, পি কে হালদার ও তার সহযোগীরা মোটা অংকের টাকা নিয়ে পালিয়েছেন। অথচ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বা দুদক কিছুই করতে পারলো না।
এক পর্যায়ে আদালত ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শাহ আলমকে চোর ও ডাকাত বলে সম্মোধন করেন।পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড যাতে চালু থাকে সেজন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ও সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যানের বক্তব্য শুনবেন হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার ভার্চ্যুয়লি যুক্ত হয়ে তাদের বক্তব্য শুনবেন উচ্চ আদালত।
আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানজিব উল আলম, ঋণগ্রহীতাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট গাজী মোস্তাক আহমেদ, পিপলস লিজিংয়ের সাময়িক অবসায়ক আসাদুজ্জামানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান।
পিপলস লিজিংয়ের সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিক্যুডেটর) মো. আসাদুজ্জামান খানের করা এক আবেদনে পিপলস লিজিংয়ের প্রায় ৫শ জনের বেশি ঋণগ্রহীতার একটি তালিকা দাখিল করা হয়। এই তালিকা দাখিলের পর ৫ লাখ টাকা এবং তার ওপরে নেওয়া ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে যারা খেলাপি হয়েছে এমন ২৮০ জনকে তাদের ২১ জানুয়ারি এক আদেশে তলব করেছিলেন হাই কোর্ট।
এদের মধ্যে ১৪৩ জনকে মঙ্গলবার হাজির হতে বলা হয়েছিলো। কিন্তু এদের মধ্যে মঙ্গলবার ৫১ জন হাজির হন। আর ৩২ জন আইনজীবীর মাধ্যমে সময় চেয়ে আবেদন করেন।
১৪৩ জনের মধ্যে বাকি যারা হাজির হননি তাদের দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে সশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে।
২৮০ জনের মধ্যে বাকি ১৩৭ জনের হাজির হওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য রয়েছে।