আজ: মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪ইং, ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৯ ডিসেম্বর ২০২১, রবিবার |

kidarkar

খেলাপি নিয়ন্ত্রণে দুর্বলতা চিহ্নিত করার পরমর্শ আইএমএফের

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের ব্যাংকিং খাতের খেলাপি নিয়ন্ত্রণে গঠনগত দুর্বলতা চিহ্নিত করার পরমর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। পাশাপাশি সুশাসন, নিয়ন্ত্রণ, তত্ত্বাবধান এবং আইনি কাঠামোতে গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে এই সংস্থাটি।

রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই পরামর্শ দেয় আইএমএফ।

আইএমএফ জানায়, এখনও বাংলাদেশের খেলাপি ঋণ আন্তর্জাতিক বেজেল স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল) অর্থাৎ খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ৮ দশমিক ১২ শতাংশ। করোনার শুরুর বছর ২০২০-এর ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিল ৮৮ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সে হিসাবে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১২ হাজার ৪১৬ কোটি টাকা।

এছাড়া সম্প্রতি সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার পুন:নির্ধারণ করায় বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানিয়েছে আইএমএফ। কিন্তু দেশের বন্ড মার্কেট ও পুঁজিবাজারের গুরুত্ব বৃদ্ধির তাগিদ দিয়েছে আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি।

বিভিন্ন শর্তারোপ ও মুনাফা কমানোর পর সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে ভাটা পড়েছে। সর্বশেষ অক্টোবর মাসে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমেছে প্রায় ৮১ শতাংশ। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ নিরুৎসাহ করতে নানা শর্ত জুড়ে দিয়েছে সরকার। এ ছাড়া গত সেপ্টেম্বরে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমানো হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে। এ ছাড়া করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিকল্প বিনিয়োগে মনোযোগী হওয়ার কারণেও সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমছে।

করোনার কারণে সারাবিশ্বের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এই ক্ষতি সামলাতে রপ্তানি বহুমুখিকরণ, উৎপাদশীলতা বৃদ্ধি, বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরিসহ বেশ কিছু খাতে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ এসেছে। আর এসব সমস্যা থেকে উত্তরণে আইএমএফ সবসময় বাংলাদেশের পাশে রয়েছে বলেও আশ্বস্থ করা হয়েছে।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাস (জুলাই-নভেম্বরে) ১ হাজার ৯৭৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, দেশীয় মুদ্রায় যা ১ লাখ ৬৮ হাজার ২১৫ কোটি টাকার সমান। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৪ দশমিক ২৯ শতাংশ বেশি। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৭৪৭ কোটি ডলার। অবশ্য শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ দশমিক ২৭ শতাংশ রপ্তানি বেশি হয়েছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.