ঋণ পরিশোধে ফের ছাড় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঋণ, লিজ ও বিনিয়োগের বিপরীতে কিস্তির ন্যূনতম ২৫ শতাংশ পরিশোধ করলে তাকে খেলাপি হিসেবে ঘোষণা করা যাবে না। এর জন্য চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। এই কিস্তির অবশিষ্টাংশ আগামী বছরের যে কোন সময় পরিশোধ করলেই চলবে। তবে অন্য কিস্তিগুলো যথা সময়ে পরিশোধ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কোন ঋণ, লিজ, বিনিয়োগ গ্রহীতা যদি কিস্তির ২৫ শতাংশ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন তবে সংশ্লিষ্ট ঋণের ক্ষেত্রে প্রচলিত বিধিবিধান যথারীতি বহাল থাকবে। সে ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শ্রেণীকৃত ঋণ বিবরণীতে তা যুক্ত করে সিআইবি-তে রিপোর্ট করতে হবে। আর যদি ২৫ শতাংশ ঋণ পরিশোধ করা হয় তাহলে আরোপিত সুদ বা মুনাফা ভবিষ্যত আদায় ঝুঁকি বিবেচনায় ব্যাংকগুলো তাদের আয়খাতে তা স্থানান্তর করতে পারবে।
আর এ ধরনের সুবিধা পাওয়া ঋণের বিপরীতে বিদ্যমান নীতিমালার আওতায় যে সাধারণ প্রভিশন রাখা হয় তার অতিরিক্ত ২ শতাংশ নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সঞ্চিতির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিশেষ সংস্থান’। তবে সংরক্ষিত বিশেষ সংস্থান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা ছাড়া আয় বা অন্য খাতে স্থানান্তর করা যাবে না।
এছাড়া বিশেষ বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তি নিয়ে পুনঃতফসিল, পুনর্গঠিত ঋণ, লিজ বা বিনিয়োগের বিপরীতে আরোপিত সুদ বা মুনাফা আয়খাতে দেখানো যাবে না। ঋণ, লিজ ও বিনিয়োগের শ্রেণিকরণ, আরোপিত সুদ বা মুনাফা আয়খাতে স্থানান্তরের এ সুবিধা শুধুমাত্র চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর ভিত্তিক হিসাব চূড়ান্তকরণের জন্য প্রযোজ্য হবে।