আজ: বুধবার, ০৮ মে ২০২৪ইং, ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২, রবিবার |

kidarkar

অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসেই বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ১২৭ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশের বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে দাড়িয়েছে ১ হাজার ৫৬১ কোটি ৬০ লাখ ডলারে (১৫.৬২ বিলিয়ন)। যা আগের অর্থ বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২৭.২ শতাংশ বেশি। দেশের অর্থনীতিতে এর আগে এত বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি কখনোই দেখা যায়নি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য বলছে, আগের অর্থবছরের (২০২০-২১) এই ছয় মাসে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৬৮৭ কোটি (৬.৮৭ বিলিয়ন) ডলার।

বৈশ্বিক করোনা মহামারীর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ রপ্তানির তুলনায় আমদানি নির্ভর হওয়ায় এই বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। তবে আমদানির পরিমাণ বাড়লেও একই সঙ্গে রপ্তানির প্রবৃদ্ধিও আশানুরূপ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপাত্ত বলছে, চলতি অর্থবছরে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ২ হাজার ৩৩৫ কোটি ৫০ লাখ (২৩.৩৫ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছেন রপ্তানিকারকরা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৭ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি।

বিপরীতে দেশের আমদানিকারকরা রেকর্ড পরিমাণ আমদানি করেছন। চলতি অর্থবছরের (জুলাই-ডিসেম্বর) ৩ হাজার ৮৯৭ কোটি ১০ লাখ (প্রায় ৩৯ বিলিয়ন) ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫৪ দশমিক ৫০ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরের এই ছয় মাসে ২ হাজার ৫২২ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছিল।

দেশের এই বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে প্রভাব পড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। গত আগস্টে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল।

বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যেও (ব্যালান্স অফ পেমেন্ট) বড় ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে এই ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার। অথচ গত অর্থবছরের একই সময়ে ৩৫১ কোটি ৫০ লাখ ডলার উদ্বৃত্ত ছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছর শুরুই হয়েছিল লেনদেনের ভারসাম্যে ঘাটতি নিয়ে। প্রথম তিন মাসে অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২৩১ কোটি ৪০ লাখ (২.৩১ বিলিয়ন) ডলার। চার মাস শেষে (জুলাই-অক্টোবর) তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭৬ কোটি ৯০ লাখ ডলারে। জুলাই-নভেম্বর সময়ে ঘাটতি ছিল ৬ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার। ডিসেম্বর শেষে তা আরও বেড়ে ৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

৯২৭ কোটি ৪০ লাখ (৯.২৭ বিলিয়ন) ডলারের বড় উদ্বৃত্ত নিয়ে ২০২০-২১ অর্থবছর শেষ হয়েছিল। তার আগের বছরে উদ্বৃত্ত ছিল ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার।

তবে আর্থিক হিসাবে এখনও উদ্বৃত্ত ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে এই উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ৬৬৭ কোটি ৬০ লাখ (৬.৬৭ বিলিয়ন) ডলার। গত অর্থবছরের এই সময়ে ২২১ কোটি ৯০ লাখ ডলারের উদ্বৃত্ত ছিল।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.