বিডি সার্ভিসের দায় কমাতে তিন উদ্যোগ
আতাউর রহমান: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি বাংলাদেশ (বিডি) সার্ভিসেস লিমিটেডের সম্পদের দায় বেড়েই চলেছে। এরই প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির সাথে আলোচনার মাধ্যমে প্রাথমিক তিনটি পরামর্শ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
প্রসঙ্গত, কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধিদের সঙ্গে আর্থিক ও সার্বিক অবস্থা নিয়ে বৈঠক হয় বিএসইসির। বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় দুইটি পক্ষের মধ্যে। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি কোম্পানি ও বিএসইসির পক্ষ থেকে তিনটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আলোচনায় বলা হয়েছে, বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কোম্পানির উল্লেখিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
আলোচনায় উল্লেখিত বিষয়গুলো হচ্ছে:- বৈঠকে কোম্পানিটির বর্তমান আর্থিক অবস্থার বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করা হয়েছে। কারণ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে জুন ২০২১ থেকে ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দায় ২৫ টাকা ২৪ পয়সা থেকে বেড়ে ৩১ টাকা দাঁড়িয়েছে। এছাড়া উল্লেখ করা হয়েছে কোম্পানির প্রধান আর্থিক সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি হল তার বড় দীর্ঘমেয়াদী ঋণ। যার কারণে কোম্পানিকে একটি বড় সুদ বহন করতে হয়। যদি সরকার তার ধারণকৃত শেয়ারের একটি অংশ অফলোড করে এবং সে থেকে কোম্পানিকে নগদ অর্থ প্রদান করে, তাহলে কোম্পানির আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে বলে জানানো হয়।
একই সঙ্গে সর্বশেষ এনএভি কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে কোভিড মহামারীর তৃতীয় তরঙ্গের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া এ বছর ফেব্রুয়ারীর সময় কোম্পানির সম্পূর্ণ ক্ষমতার মাত্র ১২% কার্যকর ছিল , যা কোম্পানির নির্দিষ্ট খরচ বহন করে না বলে জানানো হয়।
এদিকে যদি সরকার তার শেয়ারের কোনো অংশ অফলোড করে, তবে সেই টাকা সরকারী তহবিলে জমা হবে, কোম্পানির তহবিলে নয়। তাই কোম্পানির পক্ষ থেকে রাইট শেয়ার ইস্যুর বিষয়ে বলা হয়েছে। যাতে কোম্পানিতে নতুন নগদ অর্থ প্রবেশ করানো যায়। এছাড়া আরো বলা হয়েছে কোম্পানির পুনর্মূল্যায়নের রিপোর্ট পাওয়ার পর কমিশন এবং কোম্পানি যৌথভাবে কোম্পানির আর্থিক অবস্থার উন্নতি এবং লাভজনক করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে পারে।
এরই প্রেক্ষিতে বৈঠকে নেয়া তিনটি সিদ্ধান্ত হচ্ছে, বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড এপ্রিল এর সাথে তার পুনর্মূল্যায়ন প্রতিবেদন জমা দেবে। একই সঙ্গে পুনর্মূল্যায়ন প্রতিবেদন জমা দেওয়া হলেও কোম্পানিটি কমিশনের সমন্বয়ে একটি আর্থিক ও ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করবে। সবশেষ কোম্পানির বোর্ড দ্বারা মন্ত্রণালয়ের সামনে কোম্পানির সেই পরিকল্পনাটি উপস্থাপন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।