ইতিবাচক ধারায় সপ্তাহ শুরু, বেড়েছে লেনদেন
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: আজ ১০ এপ্রিল রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ। দিন শেষে আজ ৫৭.২৫ শতাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানা যায়, আজ ১০ এপ্রিল ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ০.৩১ শতাংশ বা ২১.২১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৬৬২.৪৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬.২০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৪৫৯.৮১ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬.৯২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ৪৫৮.৫১ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৭৯ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২১৭ টির, কমেছে ১১০ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫২ টির। অর্থাৎ পুঁজিবাজারে আজ ৫৭.২৫ শতাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। সারাদিনে ডিএসইতে ১৩ কোটি ৩০ লাখ ৮৩ হাজার ৪১৫টি শেয়ার ১ লাখ ৮ হাজার ৬৭৪ বার হাতবদল হয়। আর দিন শেষে লেনদেন হয় ৬৪৩ কোটি ৫৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
গত কার্যদিবসে অর্থাৎ ৭ এপ্রিল ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ০.৩১ শতাংশ বা ২১.২৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করেছে ৬ হাজার ৬৪১.২৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২.৬১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করেছে ১ হাজার ৪৫৩.৬০ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৭.৪৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করেছে ২ হাজার ৪৫১.৫৯ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৮১ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বৃদ্ধি পায় ৯৯ টির, কমে ২৩০ টির এবং অপরিবর্তিত রয় ৫২ টির। অর্থাৎ পুঁজিবাজারে গত কার্যদিবসে ২৫.৯৮ শতাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। সারাদিনে ডিএসইতে ১৩ কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৮টি শেয়ার ৯৯ হাজার ৫৭৬ বার হাতবদল হয়। আর দিন শেষে লেনদেন হয় ৫১৫ কোটি ৬৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকা।
সে হিসেবে আজ লেনদেন বেড়েছে ১২৭ কোটি ৯২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।
এদিকে আজ দিন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএএসপিআই ০.২৭ শতাংশ বা ৫৩.৭১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৯ হাজার ৫৫৫.৪৬ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৬১ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বৃদ্ধি পায় ১২০ টির, কমেছে ১০৯ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২ টির। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৬২ লাখ ২৩ হাজার ২০৯ টাকা। গত কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিলো ১৮ কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার ২৬৯ টাকা। অর্থাৎ সিএসইতে আজ লেনদেন কমেছে ২ কোটি ৭৭ লাখ ৯৭ হাজার ৬০ টাকা।
শেয়ার বাজার ভবিষ্যতে ভালো করতে হলে শেয়ার বাজার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর মহোদয় সহায়তা প্রদান ছাড়া ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার বাজার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে না। বিএসইসি কে বূঝতে হবে বর্তমান সরকারের নীতিতে শেয়ারবাজারে সব সময়ই নিতি সয়হাতা প্রদান করা হয়েছে এতে শেয়ার বাজার ভবিষ্যতে অনেক ভালো হবে বলে আমরা সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আশা করছি।। বর্তমান বিএসইসি চেয়ারম্যান মহদোয় এর অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছে অতিতে অন্য কোন চেয়ারম্যান এধরনের কোন চেষ্টা করার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমরা সাধারণ বিনিয়োগকারীরা দেখেনি।
,,
শেয়ার বাজারের স্হীতিশীলতা ধরে রাখাটা এই মুহূর্তে খুব জরুরী। অন্যথায় বিনিয়োগকারীরা ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে বাড়ি ফিরে যাবে। তিরিশ লক্ষ পরিবার দরিদ্র সীমার নিচে চলে যাবে। এখানে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা খুবই অভাবী এবং দরিদ্র। একপ্রকার বলতে গেলে দরিদ্র সীমার নিচে দিনাতিপাত করে। আশা করছি আমাদের এই আর্তনাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পর্যন্ত পৌঁছবে।