আজ: শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৬ জুন ২০২২, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

ব্রিটেনে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত পাঁচ শতাধিক

আন্তর্জাতি ডেস্ক:ব্রিটেনে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা এখন পাঁচ শতাধিক। সর্বশেষ সরকারি তথ্য অনুযায়ী এ তথ্য জানা গেছে।
ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি (ইউকেএইচএসএ) জানিয়েছে, ইংল্যান্ডে নতুন করে ৫২টি, স্কটল্যান্ডে একটি এবং ওয়েলসে একটি কেস শনাক্ত হয়েছে। ফলে ব্রিটেনে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমণ ৫২৪-য়ে পৌঁছেছে।

ইউকেএইচএসএ জানিয়েছে, ইংল্যান্ডে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া মোট কেসের সংখ্যা ৫০৪, স্কটল্যান্ডে ১৩, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে দুই এবং ওয়েলসে পাঁচ।

ইউকেএইচএসএ বলছে, যে কেউ মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হতে পারে। বিশেষ করে এই রোগের লক্ষণ আছে এমন ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্কসহ ঘনিষ্ঠ যোগাযোগে আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ে। বর্তমানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এমন পুরুষদের মধ্যে এই রোগ ছড়াচ্ছে যারা সমকামী, উভকামী বা পুরুষদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করছে।

এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, মাঙ্কিপক্সের নতুন নামকরণের বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে তারা। এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ চলছে। এই ভাইরাস এবং এ থেকে যে রোগ সৃষ্টি হয় সে বিষয়ে ‘বৈষম্যহীন এবং অপবাদ আরোপ করে না এমন নাম দেওয়া জরুরি প্রয়োজন’ জানিয়ে গত সপ্তাহে ৩০ জন বিজ্ঞানীর লিখিত আহ্বানের পরই নতুন নামকরণের কথা জানানো হলো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মাঙ্কিপক্সের নতুন নামকরণের বিষয়ে তারা আগামী সপ্তাহে জরুরি বৈঠকে বসবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রস আধানম গেব্রেয়েসুস বলেন, মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব অস্বাভাবিক এবং উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি এক বিশেষ ধরনের বসন্ত। জলবসন্ত বা গুটিবসন্তের প্রতিকার থাকলেও এই ভাইরাস এতই বিরল যে, এখনো পর্যন্ত এর নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসাপদ্ধতি জানা নেই চিকিৎসকদের।

মূলত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার কিছু দেশে এই ভাইরাসের খোঁজ মেলে। তবে নাম ‘মাঙ্কিপক্স’ হলেও একাধিক বন্যপ্রাণির মাধ্যমে ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। এই ভাইরাস সবচেয়ে বেশি ছড়ায় ইঁদুরের মাধ্যমে।

ভাইরাসের উপসর্গ কী কী?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তদের শরীরে প্রাথমিক উপসর্গের মধ্যে আছে- জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, পিঠ ও গায়ে ব্যথার মতো লক্ষণ। এর থেকে হতে পারে কাঁপুনি ও ক্লান্তি।

এর পাশাপাশি দেহের বিভিন্ন লসিকা গ্রন্থি ফুলে ওঠে। সঙ্গে ছোট ছোট ক্ষতচিহ্ন দেখা দিতে থাকে মুখে। ধীরে ধীরে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে ক্ষত। বিশেষজ্ঞদের দাবি, আক্রান্ত ব্যক্তির আশেপাশে থাকা ব্যক্তির মধ্যে সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভাইরাস।

শ্বাসনালি, ক্ষতস্থান, নাক, মুখ কিংবা চোখের মাধ্যমে এই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে সুস্থ ব্যক্তির দেহে। এমনকি আক্রান্তের ব্যবহার করা পোশাক থেকেও ছড়ায় সংক্রমণ।

শেযারবাজার নিউজ/খা.হা.

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.