‘বিশেষ গোষ্ঠীর হয়ে কাজ করে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক’
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক পূর্ণ স্বাধীন। কারও পক্ষ হয়ে কিংবা কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর হয়ে কাজ করে না। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) মুদানীতি ঘোষণাকালে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক পূর্ণ স্বাধীন এখানে কারও পক্ষ হয়ে কিংবা কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর হয়ে কাজ করার প্রয়োজন পড়ে না। ঋণ অনিয়মের বিষয়ে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক দাবির কারণে খেলাপি ঋণের কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। সে ছাড়ও ধীরে ধীরে উঠে যাচ্ছে। কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের কারণে পুরো খাতের বদনামের বিষয়ে গভর্নর বলেন, এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মূল সমস্যা উচ্চ সুদ। সেই সুদহারও নির্ধারণ করে দিয়েছি।
ফজলে কবির বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও প্রকাশ করে। দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় মুদ্রানীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ঋণ, মুদ্রা সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ, বৈদেশিক সম্পদ কতটুকু বাড়বে বা কমবে এর একটি পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। আসছে বাজেটের ঘাটতি মেটাতে সরকার ব্যাংক ঋণে জোর দেবে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি পূরণে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার। এ অঙ্ক ২০২১-২২ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৯ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা বেশি। গত অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছিল সরকার।
করোনার কারণে গত দুই বছর আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া শুধু ওয়েবসাইটে মুদ্রানীতি প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক আগে প্রতি ছয় মাসের আগাম মুদ্রানীতি ঘোষণা করলেও গত দুই অর্থবছর ধরে তা এক বছরের জন্য করা হচ্ছে। এবারও মুদ্রানীতি এক বছরের জন্য ঘোষণা করেছেন গভর্নর ফজলে কবির। এটি বর্তমান গভর্নরের মেয়াদের শেষ মুদ্রানীতি ঘোষণা।