আয়ে কমতি থাকলেও দরে লাগামহীন বিডি পেইন্টেস’র শেয়ার
নিজস্ব প্রতিবেদক :গত ৯ মাসে ইপিএস কম হলেও দরে যেন লাগামহীন বিডি পেইন্টসের শেয়ার। এসএমই মার্কেটে তালিকাভুক্তির পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে বিডি পেইন্টেস’র শেয়ারের দর। মাত্র মাসখানেকের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়েছে প্রায় ৫ গুন।
পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন পুঁজিবাজারে এসএমই মার্কেটে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রাসায়ন খাতের কোম্পানি বিডি পেইন্টেসের শেয়ার যে আলাদিনের চেরাগ!কোনো কারন ছাড়াই এই শেয়ারের দর বাড়াটা সন্দেহজনক বলে মনে করছেন তারা।
ইতোমধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কোম্পানি কর্তৃপক্ষের কাছে শেয়ার দর অস্বাভাবিক হারে বাড়ার কারন জানতে চাইলে তারা জানায় এর কোনো কারন তাদের জানা নেই।
বিষয়টি নিয়ে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা জানান যৌক্তিক কারণ ছাড়াই স্বল্প মূলধনী এসব শেয়ারের দর বাড়াটা বাজারের জন্য অশনি সংকেত! বিনিয়োগকারীরা ও এধরণের শেয়ারে হুজুগে বিনিয়োগ করে যা কোনোভাবেই উচিত নয়। পুঁজিবাজারে জেনে বুঝে বিনিয়োগ না করলে তা নিতান্তই ঝুঁকিপূর্ণ।
তারা মনে করছেন এক বছরের বেশি সময় পুঁজিবাজার অস্থিতিশীল থাকলেও এসএমই মার্কেটের শেয়ার দাম হু হু করে বাড়ছে। এ ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে বড় ক্ষতির সম্মুখিন হতে পারে সাধারন বিনিয়োগকারীরা।
মুলত সংঘবদ্ধভাবে কারসাজি চক্র মিলে শেয়ার কিনে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে এমএমই মার্কেটের শেয়ারের দাম বাড়াচ্ছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বলে জোরালো দাবি জানান তারা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিডি পেইন্টেস শেয়ার দর গত ১৪ জুন ছিল ১১ টাকা। মাত্র ১ মাসের ব্যবধানে বুধবার শেয়ারটির দাম ৪৬.৯০ থেকে ৪৯.৩০ পয়সা লেনদেন হয়।
এ বিষয়ে কোম্পানির এক কর্মকর্তা জানান, বিডি পেইন্টসের শেয়ার দর বাড়ার যুক্তিসঙ্গত কোন কারণ দেখছি না। তাছাড়া আমাদের কাছে কোন প্রাইস সেনসেটিভ ইনফরমেশনও নেই।
এ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষন করে দেখা যায়, গত ১ জুলাই ২০২১ থেকে ৩১ মার্চ ২০২২ পর্যন্ত (জুলাই ২১ মার্চ ২২) ৯ মাসের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৫৮ টাকা। যা গত বছর একই সময় (জুলাই ২০ মার্চ ২১) ছিল ০.৭৯ টাকা।