আজ: শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৭ জুলাই ২০২২, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল: প্রধানমন্ত্রী

শেয়ারবাজার ডেস্ক:রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নবনির্মিত ৮ তলা অফিস ভবন উদ্বোধন এবং বঙ্গবন্ধু ‍কূটনৈতিক উৎকর্ষ পদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমাদের দুর্ভাগ্য যে যখন সারাবিশ্ব করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অর্থনৈতিকভাবে বিরাট ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে, ঠিক সেই সময়ে ইউক্রেন এবং রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যে ফেলে বিশ্বকে। সারা বিশ্বব্যাপী মানুষের অবস্থা আরও করুণ হয়ে যাচ্ছে। মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তার ওপর আমেরিকা যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ফলে আমাদের পণ্য প্রাপ্তিতে বা যেগুলো আমরা আমদানি করি সেখানে বিরাট বাধা আসছে। শুধু বাধাই না, পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে এবং আমরা কোথায় আমাদের প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী পাবো সে প্রাপ্তির ক্ষেত্রটাও সংকুচিত হয়ে গেছে। এই প্রভাবটা শুধু বাংলাদেশ না, আমি মনে করি আমেরিকা, ইউরোপ থেকে শুরু করে সারাবিশ্ব ব্যাপী এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তিনি বলেন, মানুষ কিন্তু কষ্ট ভোগ করছে। এটা আসলে সবার, অন্তত উন্নত দেশগুলোর বিশেষভাবে বিবেচনা করা উচিত। আমেরিকারেই বিবেচনা করা উচিত তারা যে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন তাতে তাদের দেশের লোকও যে কষ্ট পাচ্ছেন। সেদিকেও তাদের দৃষ্টি দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। নিষেধাজ্ঞা যাদের বিরুদ্ধে দিচ্ছেন তাদের আপনারা ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাচ্ছেন। কিন্তু কতটুকু তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে? তার থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষ হচ্ছে সব দেশের। সেই উন্নত দেশ, উন্নয়নশীল দেশ- সব দেশের মানুষই ভুগছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের সব দেশ কিন্তু কষ্ট পাচ্ছে।

সরকারপ্রধান বলেন, করোনা মহামারি থেকে কেবল আমরা একটু উদ্ধার পাচ্ছিলাম। তখনই এ যুদ্ধ আর নিষেধাজ্ঞা। এটা সত্যি আমাদের জন্য বিরাট একটা চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। আমি মনে করি নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কখনো কোনো দেশ বা জাতিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। সেটা নিশ্চয়ই এখন দেখতে পাচ্ছেন। তার প্রভাব তার নিজেদের দেশের ওপরও পড়ে। কাজেই এই নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া এবং পণ্য পরিবহন… যুদ্ধ যারা করার করতে থাকেন। কিন্তু পণ্য পরিবহন বা আমদানি-রপ্তানি এটা তো সহজভাবে হওয়াই… আর সাধারণ মানুষ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। কারণ খাদ্যটা মানুষের সব থেকে বড় চাহিদা। আর সেখানেই সমস্যায় পড়ে গেছে অনেক উন্নত দেশও।

তিনি বলেন, আমরা যেটা খবর পাই বিভিন্ন দেশ থেকে, আমাদেরও অনেক লোক সেখানে বসবাস করে। প্রত্যেকের জীবনটা দুর্বিষহ হয়ে যাচ্ছে। এভাবে মানুষকে কষ্ট দেওয়ার কী অর্থ থাকতে পারে আমরা ঠিক জানি না। এখানে আমি বলবো, একদিক থেকে বলতে গেলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। মানুষের যে অধিকার রয়েছে সে অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করা ঠিক নয়। আমরা আশা করি যে একটি দেশকে শাস্তি দিতে যেয়ে বিশ্বের মানুষকে শাস্তি দেওয়া- এখান থেকে সরে আসাটাই বোধহয় বাঞ্ছনীয়। সবাই সেটাই চাইবে বলে আমি মনে করি।

 

শেয়ারবাজার নিউজ/খা.হা.

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.