মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের গ্যাস সংযোগ দিতে বিএসইসি’র অনুরোধ
শাহ আলম নূর : বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ইন্ডাস্ট্রিজে গ্যাস সংযোগ ফিরিয়ে দিতে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ।
গত সপ্তাহে কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় অবস্থিত কোম্পানির কারখানায় গ্যাস লাইন পুনরায় সংযোগের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চিঠি দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রনকারি সংস্থা।
বিএসইসি কতৃপক্ষ মনে করছে কোম্পানিটির দীর্ঘ সময়ের জন্য গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় উৎপাদন বন্ধ করে দেয় হয়েছে। এতে তারা শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ইন্ডাস্ট্রিজে সাধারণ
বিনিয়োগকারিদের ৫০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন
কোম্পানির চেয়ারম্যান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ও বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছেও চিঠি পাঠিয়েছে বিএসইসি।
মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক মিষ্টি এবং নন-মিষ্টি কনডেন্সড মিল্ক উৎপাদন বাজার জাত করছে। এ প্রতিষ্ঠানের পণ্য রপ্তানিও হচ্ছে। কোম্পানিটি ২৯৯৯ সালে দেশের বৃহত্তম কনডেন্সড মিল্ক প্ল্যান্ট স্থাপনের ঘোষণা দিয়ে কাজ শুরু করে। এটি ২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
চলতি বছরের এপ্রিলে মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ইন্ডাস্ট্রিজের আর্থিক কার্যকারিতা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করে বিএসইসি।
বিএসইসির যুগ্ম পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে চার সদস্যের কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
গত বছর, বিএসইসি কোম্পানিগুলিকে এই বছরের জুনের মধ্যে তাদের পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকায় উন্নীত করার নির্দেশ দিয়েছিল।
এর আগে, একটি ডিএসই পরিদর্শন দল দেখতে পেয়েছিল যে মেঘনা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম কোম্পানি এ প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় রয়েছে।
মেঘনা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রাহকদের জন্য বিশ্বমানের মানের পন্য উৎপাদন করে গ্রাহক সেবা দিয়ে আসছে।
কোম্পানিটি তার আর্থিক বিবরনি নিয়মিত প্রকাশ করেছে এবং নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা করেছে, তবে কারখানা বন্ধ হওয়ার বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের অবহিত করেনি।
বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের দাম ০.৬৯ শতাংশ কমে ২৮ টাকা ৭০ পয়সা হয়েছে।
২০২০ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়া তাদের আর্থিক বিবরণী অনুসারে, কোম্পানির আয় ছিল ৩.৬১ কোটি টাকা এবং এর নিট লোকসান ছিল ১২.২৭ কোটি টাকা। এমন পরিস্থিতিতে অডিটর কোম্পানি প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যত সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরেছে।