আজ: শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৫ জুলাই ২০২২, সোমবার |

kidarkar

বিদেশে আটকে থাকা সাড়ে ১০ বিলিয়ন ডলার দেশে ফেরানোর নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডলার সংকটের বড় ধরণের বিপাকে রয়েছে দেশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ৭ বিলিয়ন ডলার সাপোর্ট দেওয়ার পরও মার্কেট স্বাভাবিক রাখা যাচ্ছে না। এমতবস্থায় বিদেশে আটকে থাকা রেমিট্যান্সের দেড় বিলিয়ন ডলার ও ব্যাংকগুলোর নষ্ট একাউন্টে পড়ে থাকা এক্সপোর্ট রিকনসলেশন প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার দেশে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে হিসেবে সবমিলিয়ে ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সাড়ে দশ বিলিয়ন ডলার আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে ব্যাংকগুলো যদি এসব ডলার বিদেশ থেকে না নিয়ে আসে তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংক আর ডলার সাপোর্ট দেবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোঃ সিরাজুল ইসলাম। ব্যাংকগুলোর সাপোর্টের উপর ভিত্তি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

সোমবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে এমডিদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশ এর বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান সিরাজুল ইসলাম।

তিনি আরো বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আমাদের আয়নার মতো। রিজার্ভকে একেবারে কমিয়ে ফেলা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। রেমিটেন্স আনার ক্ষেত্রে আপনারা যেভাবে সহযোগিতা করবেন ঠিক একইভাবে এক্সপোর্ট এর টাকা ফেরত আনার জন্য আপনাদের একই রকম সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। নিয়মের মধ্যে থাকলে যেকোনো ধরনের ঝুঁকি নেয়ার জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ ব্যাংক। নিয়মের মধ্যে না থাকেন তাহলে আমাদের আর কিছু করার থাকবে না।

ঋণ কোন তফসিলের মাস্টার্স সার্কুলার সম্পর্কে মুখপাত্র বলেন, কোন গ্রাহককে পুনদশীল সুবিধা দেয়া হবে এবং কাকে দেয়া হবে না এটার পুরোপুরি দায়িত্ব এখন ব্যাংকের ওপর। কোন দায়িত্ব এখন আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিতে চাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শনে যদি কোন অনিয়ম ধরা পড়ে তাহলে কোনরকম ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। কারণ কোনো দফিলের অনিয়মে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে বলে জানানো হয়। এই সার্কুলার এর ফলে এখন থেকে ঋণ বিতরণের সময় ব্যক্তি কেন্দ্রিক পর্যায়ে থেকে সবাই সতর্ক হয়ে যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন মুখোপাত্র।

বৈঠক শেষে অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সেলিম আরএফ হোসাইন বলেন, সংস্কারের এখানে মাত্র শুরু। এই সার্কুলারের মাধ্যমে ঋণ কোন তফসিল প্রক্রিয়া এখন থেকে আরও সুষ্ঠু হবে বলে মনে করেন তিনি। আগের পদ্ধতির চেয়েও কোন তফসিলের নতুন নীতিমালা অনেক ভালো। কারণ এই মুহূর্তে এখনো তফসিন এবং খেলাপি ঋণের পুরো দায় দায়িত্ব বর্তাবে ব্যাংকের ওপর।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.