বিভিন্ন সনদের নবায়ন ফি কমানোর দাবি ব্রোকারদের
নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে কার্যক্রম এবং সেবার মান ধরে রাখতে ডিপি সনদ, স্টক ব্রোকার ও স্টক ডিলার সনদ এবং ট্রেক সনদ নবায়নের বর্তমান ফি কমিয়ে পূর্বের ফি নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে স্টক ব্রোকাররা।
সোমবার (২৫ জুলাই) মতিঝিলে ডিএসই ব্রোকার্স ক্লাব মিলনায়তনে ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) আয়োজিত এর সদস্যদের ঈদ পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভায় স্টক ব্রোকাররা এই দাবি জানান।
স্টক ব্রোকাররা বলেন, বাজারের বর্তমান সংকট দীর্ঘস্থায়ী নয়, এটি সাময়িক। খুব শীর্ঘই বাজার আবার ইতিবাচক ধারায় ফিরবে। তাই বাজারের বিরাজমান মন্দা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে আমাদের যার যার অবস্থান থেকে সাধ্যমত কাজ করে যাওয়া উচিৎ। আমরা ব্রোকারগণ বাজারের দুর্দিনে অতীতে বাজার ছেড়ে যাইনি। বরং বাজারকে বিভিন্নভাবে সহায়তা দিয়ে একে কার্যকর রেখেছি।
তারা আরো বলেন, এই খাত থেকে আমরা ব্রোকারগণ সরকারকে নিয়মিত রাজস্ব প্রদান করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করছি। কিন্তু আজ ব্রোকারগণ চরমভাবে নিগৃহীত ও অবহেলিত। এমনিতে আমরা বিগত বহু বছর যাবৎ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। সাম্প্রতিক মন্দাবাজার পরিস্থিতি ও শেয়ারের টানা দরপতনের ফলে দৈনন্দিন ট্রেড কমে গিয়ে আমরা অফিস পরিচালনা ব্যয় মেটাতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছি। তার উপর বিভিন্ন সনদ নবায়নে বিএসইসি ও ডিএসই কর্তৃক ব্রোকারদের উপর আরোপিত অস্বাভাবিক ফি আমাদের মরার উপর খাড়ার ঘা হয়েছে।
ব্রোকাররা ডিপি সনদ নবায়ন ফি ২ লাখ টাকা থেকে কমিয়ে পূর্বের ৪ হাজার টাকার সাথে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করা, স্টক-ডিলার ও স্টক-ব্রোকার সনদ নবায়ন ফি ৫০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে পূর্বের ১০ হাজার টাকার সাথে অতিরিক্ত ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করা এবং ট্রেক সনদ ফি ১ লক্ষ টাকা থেকে কমিয়ে পূর্বের ৫০ হাজার টাকায় বহাল রাখার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে তা সমাধানে ডিবিএর প্রতি জোর দাবি জানায়।
ব্রোকাররা বিনিয়োগকারীদের যৌক্তিক ও জরুরি প্রয়োজনে হাউজে নগদ অর্থ লেনদেনের অবাধ সুযোগ অব্যাহত রাখার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রত্যাশা করে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনার জন্য তারা ডিবিএর প্রতি আহবান জানায়। এছাড়া বর্তমান বুক বিল্ডিং সিস্টেমে ত্রুটিপূর্ণ বিডিং পদ্ধতির সংশোধনী এনে উক্ত সিস্টেমের যথাযথ স্বরুপ ও বাস্তবায়নের বিষয়ে ডিবিএর কার্যকরী পদক্ষেপ আশা করে।
ব্রোকাররা আরও বলেন, সংগঠন হিসেবে ডিবিএ’র প্রধান দায়িত্ব ব্রোকারদের ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা করা এবং তদ্বসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিএসইসি, ডিএসইসহ অন্যান্য বাজার সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে তাদের সমস্যা সমাধান করে ব্যবসায়িক পথ সুগম করা। অথচ ডিবিএ এখন পর্যন্ত ব্রোকারদের স্বার্থ আদায়ে দৃশ্যমান ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়নি। তারা বিশ^াস করে ডিবিএ ব্রোকারদের একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পাশাপাশি শেয়ারবাজারকে সুসংহত ও সুসংগঠিত রাখতে আগামীদিনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এর জন্য তারা ডিবিএকে এখন থেকে আরও বেশি সক্রিয় ও শক্তিশালী ভূমিকায় দেখতে চাই।
অনুষ্ঠানে ডিবিএ’র সাবেক প্রেসিডেন্ট, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও পরিচালকসহ উর্ধতন সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ডিবিএর প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি’ রোজারিওর সভাপতিত্ব করেন। আর অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাজিদুল ইসলাম।