আমাদের অর্জনের গল্প বিশ্ববাসীর সামনে সম্পূর্ণভাবে তুলে ধরা যায়নি
নিজস্ব প্রতিবদেক : শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার বিশ্লেষণে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোড মডেল হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে এবং বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক সূচকের পর্যালোচনায় বাংলাদেশের উত্থান ও অগ্রগতিকে অভাবনীয় অর্জন বলে স্বীকার করা হলেছে। কিন্তু খানিকটা আমাদের দূর্ভাগ্যই বলা যায়, আমাদের অর্জনের গল্প বিশ্ববাসীর সামনে সম্পূর্ণভাবে তুলে ধরা যায়নি।
বিএসইসি এবং ব্লুমবার্গ এলপির উদ্যোগে সোমবার (২৫ জুলাই) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ন্যাশনাল ব্রান্ডিং: অ্যাট্রাক্টিং নিউ ট্যালেন্ট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস ওয়ার্ল্ড ওয়াইড শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বের সকলের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যেই আমরা এই সেমিনারের আয়োজন করেছি। নেশন ব্র্যান্ডিং এর উদ্দেশ্যেই আমরা ব্লমবার্গ এর সাথে একত্রিত হয়ে কাজ করছি এবং এখানে আমাদের সাথে স্ট্র্যাটেজিক পাটর্নার হিসেবে সংযুক্ত রয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ট্যাটাটর্ন ডিকসন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে ব্লুমবার্গ এলপির রিজিওনাল স্ট্র্যাটেজি লিড মি অ্যান্ড্রু বগস ব্যাখ্যা করেন কিভাবে একটি দেশকে বিশ্ববাসীর সামনে ব্র্যান্ডিং করা যায় এবং এই ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে কিভাবে নতুন প্রতিভা এবং বিনিয়োগ আকর্ষণ করা সম্ভব। সেমিনারে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের মিডিয়া সেলস অ্যান্ড মার্কেটিংয়ের ম্যানেজার ডিরেক্টর মিসেস সুনিতা রাজন ব্যাখ্যা করেন কিভাবে বাংলাদেশ দিন দিন উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখছে এবং কিভাবে ব্লুমবার্গ এলপি এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন যৌথভাবে বাংলাদেশকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরছে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেন, আমরা বিশ্বের ৮ম জনবহুল এবং সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের সমান আয়তনের একটি দেশে ১৬ কোটি ৫০ লাখ মানুষ বসবাস করে। কিন্তু সমস্ত প্রতিকূলতার পরও আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রায় প্রতিটি খাতেই আমরা সম্প্রতি এরকম অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছি। আমি ব্যবসায়ী, ব্যাংকার থেকে শুরু করে সবাইকে আহবান করবো বিশ্বের কাছে এই সাফল্যের গল্পগুলো তুলে ধরতে এবং দেশকে, দেশের সাফল্যকে আরো বেশি প্রচার করতে।