আজ: শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৮ জুলাই ২০২২, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

গোয়েন্দা রিপোর্টে আগ্রাসী বিক্রির প্রমাণ, কঠোর হচ্ছে বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্প্রতি শেয়ারবাজারে পতনের পেছনে গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে কিছু ব্রোকারেজ হাউজে নিয়ম ভঙ্গ করে টাচলাইন প্রাইসের পরিবর্তে আগ্রাসী বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সার্ভেইল্যান্সেও এমন তথ্য পাওয়া গেছে। যা সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার জন্য এমনটি করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে বুধবার (২৭ জুলাই) দুটি ব্রোকারেজ হাউজে তাৎক্ষনিক পরিদর্শন করেছে কমিশনের একটি দল। তবে আজ থেকে আরও কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে বিএসইসি।

দেশের শেয়ারবাজার ঈদের আগে ঠিকঠাক থাকলেও তারপর থেকে পতনের মধ্যে রয়েছে। এর পেছনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ডলার সংকট কিছুটা কাজ করলেও সেটাকে ত্বরান্বিত করছে একটি গ্রুপ। যারা আইন ভঙ্গ করে টাচলাইন প্রাইসের পরিবর্তে আগ্রাসী বিক্রি করছে।

এক্ষেত্রে কিছু ব্রোকারেজ হাউজ জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে। যার পেছনে কিছু ট্রেডারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা রয়েছে বলে গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে।
ডিএসই অটোমেটেড ট্রেডিং রেগুলেশনস ১৯৯৯ এর ২ এর ও’তে টাচলাইন প্রাইসের সংজ্ঞায় বিক্রেতার ক্ষেত্রে ক্রেতার সর্বোচ্চ প্রস্তাবিত দর এবং ক্রেতার ক্ষেত্রে বিক্রেতার সর্বনিম্ন প্রস্তাবিত দরকে বুঁঝিয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি একটি গ্রুপ বেশি দরে ক্রেতা থাকা সত্ত্বেও কম দরে শেয়ার বিক্রির দর প্রস্তাব করে নেতিবাচক অবস্থার তৈরী করেছে।

যেমন ‘এ’ কোম্পানির শেয়ার রহিম ১৬ টাকা, করিম ১৫ টাকা, জসিম ১৪ টাকায় কেনার জন্য দর প্রস্তাব করে। অপরদিকে ৩জন বিক্রেতা যথাক্রমে ১৯ টাকায়, ১৮ টাকায় ও ১৭ টাকায় দর প্রস্তাব করে। এই অবস্থায় কোন একজন বিক্রেতা মাঝখানে এসে ১৫ টাকায় বিক্রির দর প্রস্তাব করে বসে। এমন আচরনে শেয়ারটি দরপতন হয়। এ জাতীয় বিক্রয়াদেশ বাজারে বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
বিনিয়োগকারীরাও চলমান পতনকে স্বাভাবিক বলে মেনে নিতে পারছিল না। তারাও এই পতনের পেছনে কারসাজিকে সন্দেহ করে আসছিল। যা সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে ও বিএসইসির সার্ভেইল্যান্সে প্রমাণিত হয়েছে। তাই এরসঙ্গে জড়িতদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি বিনিয়োগকারীদের। একইসঙ্গে আগামিতে কেউ যেনো এমনটি করতে না পারে, সেদিকে কমিশনকে কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছে। তাহলে শেয়ারবাজার এখন থেকে ঘুরে দাঁড়াবে বলে তাদের বিশ্বাস।
বিএসইসির এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, গোয়েন্দা রিপোর্টে বাজারে বিক্রির ক্ষেত্রে কিছু ব্রোকারেজ হাউজে অনিয়ম পাওয়া গেছে। যারা বাজারকে ক্ষতিগ্রস্থ ও বিনিয়োগকারীদেরকে লোকসানের কবলে ফেলতে কাজ করছে। তবে কমিশন ওই অনিয়মকারীদেরকে ছাড় দেবে না। অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এরা শেয়ারবাজারের শত্রু।

এদিকে বিএসইসির সার্ভেল্যান্স বিভাগও আইন ভঙ্গ করে আগ্রাসী বিক্রির প্রমাণ পেয়েছে। যা তদন্তে বুধবার (২৭ জুলাই) আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি এবং ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ হাউজে তাৎক্ষনিক পরিদর্শন করেছে কমিশনের একটি দল। যাদেরকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের তথ্য দিয়ে সহযোগিতার জন্য ব্রোকারেজ হাউজ দুটিকে নির্দেশ দিয়ে চিঠি দেয় কমিশন।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, আমাদের সার্ভেইল্যান্সে টাচলাইন প্রাইসের পরিবর্তে আগ্রাসী বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এজন্য কমিশন তাৎক্ষণিক তদন্তের জন্য দুটি ব্রোকারেজ হাউজে পরিদর্শন টিম পাঠিয়েছে। আমরা ওইসব আগ্রাসি বিক্রেতা এবং এরসঙ্গে জড়িত ব্রোকারদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে পদক্ষেপ শুরু করেছি। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না

২ উত্তর “গোয়েন্দা রিপোর্টে আগ্রাসী বিক্রির প্রমাণ, কঠোর হচ্ছে বিএসইসি”

  • জন says:

    ভাল উদ্যোগ। অাপরাধীদের নিকট থেকে ক্ষতিপূরন অাদায় নিশ্চিত করা হউক। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি পুষিয়ে দেয়া হউক। এই অপরাধীরা রাজাকার, অালবদর, লুটেরা, এর দেশের দুশমন। বিও হিসাব জব্দ করা হউক এবং ব্রোকারদের লাইসেন্স বাতিল করা হউক। বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেয়া হউক।

  • Anonymous says:

    কঠোর আনদোলন হউক তাদের বিরুদ্ধে,
    যারা শেয়ার বাজার ঠিক করতে পারে না….

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.