২৮ দিনে ২ বিলিয়ন ডলার পাঠালেন প্রবাসীরা
![](https://www.sharebazarnews.com/wp-content/uploads/2022/07/AC85D93A-3E14-4E85-B438-ECD8A6331A9C.jpeg)
নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের ২৮ দিনেই প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অঙ্ক গত বছরের জুলাই মাসের পুরো সময়ের চেয়েও ৫ শতাংশ বেশি।
বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা) হিসাবে টাকার অঙ্কে ২৮ দিনের রেমিট্যান্সের অর্থের পরিমাণ ১৯ হাজার কোটি টাকার মতো।
তবে বাজারে ডলারের ব্যাপক চাহিদা থাকায় ব্যাংকগুলো ১০৪-১০৫ টাকা দরেও রেমিট্যান্স সংগ্রহ করছে। সে হিসাবে ২৮ দিনের রেমিট্যান্সের অঙ্ক আরও বেশি।
মাসের বাকি তিন দিনের রেমিট্যান্স যোগ হলে জুলাইয়ের মোট রেমিট্যান্স ২২০ কোটি (২.২০ বিলিয়ন) ডলারে গিয়ে ঠেকতে পারে বলে আশার কথা শুনিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যে অর্থনীতি নিয়ে যখন নানা হতাশার তথ্য সে সময় রেমিট্যান্সের উল্লম্ফন অব্যাহত থাকলে এই অর্থবছরে নতুন রেকর্ডের পাশাপাশি দেশ অনেকটাই চাপমুক্ত হবে বলে আশা করছেন অর্থনীতিবিদরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ১ জুলাই শুরু হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ২৮ দিনে ১৯৬ কোটি (১.৯৬ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এ হিসাবে প্রতিদিন ৭ কোটি ডলার করে পাঠিয়েছেন তারা; টাকার হিসাবে প্রতিদিন দেশে এসেছে ৬৬৩ কোটি টাকা।
৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে মন্দা দেখা দেয়। পুরো অর্থবছরে ২ হাজার ১০৩ কোটি (২১.০৩ বিলিয়ন) ডলার এসেছিল; ওই বছর গড়ে প্রতিদিন ৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় উল্লম্ফন ঘটে ২০২০-২১ অর্থবছরে। সে সময়ে ২ হাজার ৪৭৮ কোটি (২৪.৭৮ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। ওই অর্থবছরে প্রতিদিন গড়ে ৬ কোটি ৭৯ ডলার প্রবাসী আয় হিসেবে দেশে এসেছিল।
ঈদের পরও রেমিট্যান্স বাড়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘গত কয়েক মাসে ডলারের দর বেশ খানিকটা বেড়েছে। প্রণোদনার পরিমাণ ২ শতাংশ থেকে আড়াই শতাংশ করা হয়েছে। এসব কারণে প্রবাসীরা এখন ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। সে কারণেই বাড়ছে রেমিট্যান্স।’
তিনি বলেন, ‘এই সময়ে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির খুবই দরকার ছিল। নানা পদক্ষেপের কারণে আমদানি ব্যয় কমতে শুরু করেছে। রপ্তানির পাশাপাশি রেমিট্যান্স বৃদ্ধির কারণে আশা করছি এখন মুদ্রাবাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।