আজ: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০২ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার |

kidarkar

রাজধানীতে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু, অনিয়ম হলে ব্যবস্থার কথা বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, দরিদ্র পরিবারগুলোকে কম দামে পণ্য দিতে পরিবার কার্ড চালু করেছে সরকার। এর মাধ্যমে তিন হাজারের বেশি পরিবেশকের মাধ্যমে সারা দেশে এক কোটি পরিবারের কাছে টিসিবির পণ্য সরবরাহ করা হবে।

টিসিবি জানিয়েছে, এই দফায় নিম্ন আয়ের পরিবার কার্ডধারী ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও দুই কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১১০ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা, এক কেজি মসুর ডাল ৬৫ টাকা ও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০ টাকা দরে বিক্রি হবে। তবে পেঁয়াজ বিক্রি হবে শুধু সিটি করপোরেশন এলাকা ও টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়-সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে।

তবে পণ্যের এই পরিমাণ মাঝারি বা বড় পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছেন অনেক ভোক্তা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, দেশের নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট দূর করার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এতে হয়তো পুরো মাসে একটা ফ্যামিলির চলতে কষ্ট হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীও সাশ্রয়ী হতে বলেছেন। আমার মনে হয় সাশ্রয়ী হলে এই পণ্য দিয়েই চলা সম্ভব হবে।

ঢাকার পরিবেশকদের এক সঙ্গে না দিয়ে পর্যায়ক্রমে পণ্য বিতরণের অনুমতি দিচ্ছে টিসিবি। টিসিবি জানিয়েছে, আগস্ট মাসের জন্য প্রথম ধাপে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ জন ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩১ জন পরিবেশক এ অনুমতি পেয়েছেন। তাঁরা গতকাল টিসিবির কাছে টাকা জমা দিয়ে পণ্য বুঝে নেন। গতকাল রাতেই প্যাকেটজাত করে আজ সকাল থেকে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি শুরু করেন।

মাসের শুরুতে টিসিবির পণ্য পেয়ে খুশি ভোক্তারা। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, যতটুকু পণ্য তাঁরা কিনতে পারছেন, তা পর্যাপ্ত নয়।

মোহাম্মদপুর বিহারী ক্যাম্প এলাকা থেকে টিসিবির পণ্য কিনতে বাবর রোডে আসেন রিনা আক্তার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, যা কিনতে পারি, তা দিয়ে মোটামুটি অর্ধেক মাস চলে আমাদের। শুধু চিনিটা পুরো মাস যায়। এর সঙ্গে আরও কিছু টাকা বাড়িয়ে আরেকটু বেশি পরিমাণে পণ্য দিলে আমাদের জন্য বেশি উপকার হতো।

এ ছাড়া টিসিবির পণ্যের সঙ্গে চালকেও অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন কেউ কেউ। মোহাম্মপুরের রিং রোড এলাকার দিনমজুর মিনু মিয়া জানান, বাইরে থেকে বেশি দামে চাল কিনে তাঁর পোষায় না। সরকারিভাবে দেওয়া কমদামি চালও সব সময় কিনতে পারেন না তিনি। এ জন্য টিসিবির পরিবার কার্ডের মাধ্যমে চাল বিক্রি করা হলে তারঁ জন্য সহজ হয়। একই রকম কথা জানান আরও কয়েকজন ক্রেতা।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.