আজ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০২ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার |

kidarkar

বিদ্যুতের ব্যবহার কমিয়ে কার্যকারিতা বৃদ্ধির উদ্যোগ স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ তাদের সকল অফিস স্পেস এবং ব্রাঞ্চে বিদ্যুতের ব্যবহার কমানো ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত বিদ্যুৎ সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে সমর্থন জানিয়ে ব্যাংকটি এই উদ্যোগসমূহ নিয়েছে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর করা হচ্ছে।

দেশব্যাপি পরিবেশ সংরক্ষণে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড “এ্যাম্ব্রেসিং সাসটেইনেবিলিটি চ্যালেঞ্জ” উদ্যোগ শুরুরও ঘোষণা দিয়েছে। এই উদ্যোগ ব্যাংকের কর্মীদের পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিতে, জীবনযাত্রার মান আরও টেকসই করতে এবং দেশকে বিশ্বদরবারে পরিবেশ-বান্ধব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে উত্সাহিত করবে। এই আগস্ট মাসব্যাপি ব্যাংকের সকল কর্মী “এ্যাম্ব্রেসিং সাসটেইনেবিলিটি চ্যালেঞ্জ”-এ অংশগ্রহণ করবে, যার চারটি মূল লক্ষ্য; সবুজায়ন নিশ্চিতকরন, পানি সংরক্ষণ, বিদ্যুৎ সংরক্ষণ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়া ও পুনঃব্যবহার নিশ্চিত করা।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ-এর সিইও নাসের এজাজ বিজয় বলেন, “রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্ব অর্থনীতি ব্যাপকভাবে নেতিবাচক প্রভাবের সম্মুখীন হচ্ছে, ফলে বিশ্বজুড়ে উচ্চ-মুদ্রাস্ফীতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার হারের উপর চাপ বাড়ছে। সরকারের স্বল্প বৈদেশিক ঋণ এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যসামগ্রী মজুদ থাকায় বাংলাদেশ স্থিতিশীল অবস্থানে রয়েছে। তবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এবং সম্মিলিতভাবে আমরা যদি দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় সামান্য পরিবর্তিন আনতে পারি, তাহলে জাতিকে ভবিষ্যতের সম্ভাব্য সঙ্কট মোকাবেলায় সাহায্য করতে পারবো। একইসাথে আমরা দেশকে স্থিতিশীল রাখতে এবং সমৃদ্ধি সাধন করতে সক্ষম হবো।”

বিদ্যুৎ সাশ্রয় এবং আমদানি নির্ভরতা কমাতে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ঘোষণা দিয়েছে;
• ব্যাংকের সকল অফিস রবিবার বন্ধ থাকবে এবং সেদিন কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করবে। তবে ব্রাঞ্চগুলো ও অন্যান্য জরুরি সেবাসমূহ এই সিদ্ধান্তের বাহিরে থাকবে।
• কর্মীদের প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুইদিন বাড়ি থেকে কাজ করবে।
• প্রয়োজন অনুযায়ী সকল মিটিং-সেমিনার ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে পরিচালনা করা হবে।
• যেসময় রাস্তায় অতিরিক্ত যানজট থাকে, সেসময়ের জন্য ফ্লেক্সিটাইম রোস্টার চালু করা হবে।
• সহকর্মীদের যথাসম্ভব একত্রে অফিসে আসতে উৎসাহিত করা হবে।
• পণ্য আমদানির পরিবর্তে যথাসম্ভব স্থানীয় পণ্য ও পরিষেবা ব্যবহার করা হবে।
• স্মার্ট অবকাঠামোয় বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি, যেমন; সকল ব্রাঞ্চ, মিটিং রুমে লাইট ও অ্যাপ্লায়েন্সে মোশন সেন্সর ব্যবহার করা হবে।
• নন-ব্রাঞ্চ কার্যক্রমের ক্ষেত্রে কাগজের ব্যবহার ৫০% পর্যন্ত কমিয়ে আনতে হবে।

দীর্ঘ ১১৭ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম পরিচালনাকারী স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-ই দেশের একমাত্র বহুজাতিক ব্যাংক। দীর্ঘদিন যাবত দেশের অগ্রগতির অংশীদার হিসাবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড সাফল্য, সম্পদ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রবৃদ্ধিতে সাহায্যের লক্ষ্যে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যাংকিং পরিষেবা প্রদান করে আসছে। সাসটেনেবিলিটি ও সমতাকে কেন্দ্র করে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য ব্যাংকটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও সাসটেইনেবিলিটিকে কেন্দ্র করে কমিউনিটি উদ্যোগের মাধ্যমে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড জীবন, জীবিকা এবং পৃথিবীর সুরক্ষায় ভূমিকা রেখেছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.