আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০২ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার |

kidarkar

পুঁজিবাজার: বিনিয়োগসীমা ক্রয় মূল্যকে গণনায় মন্ত্রণালয়ের সম্মতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগসীমা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এখন থেকে শেয়ারের ক্রয়-মূল্যের ভিত্তিতে পুঁজিবাজারে তফসিলি ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ধারণ (Exposure to Capital Market) করা হবে। অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এ সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঠানো প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে ।
অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, এর আগে গত ১৭ জুলাই বিষয়টি সমাধানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায়। এর প্রেক্ষিতে আজ ২ আগস্ট,২০২২ বিষয়টি পরিস্কার করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংক কোম্পানি আইন,১৯৯১ এর ২৬ এর ক ধারায় ব্যাংক কোম্পানি কর্তৃক অন্য কোন কোম্পানির শেয়ার ধারণের হিসাবয়নে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উর্ধ্বসীমা (Exposure to Capital Market) নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক ক্রয়কৃত মূল্যকেই বাজারমূল্য হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারমূল্যে বিনিয়োগসীমা গণনা হয় বলে ব্যাংকগুলো দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করতে পারে না। কারণ বাজারমূল্যের ভিত্তিতে বিনিয়োগসীমা গণনা হলে শেয়ারের দাম বেড়ে গেলেই তা বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয় ব্যাংকগুলো, যা ব্যাংকগুলোর দিক থেকে পুঁজিবাজারে বাড়তি বিনিয়োগের সুযোগ তৈরির পথে অন্যতম বাধা। দীর্ঘদিনের এ সমস্যা দূর হওয়ার ফলে ব্যাংকগুলোর পরিশোধিত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম, সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও সংরক্ষিত আয়ের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ পুঁজিবাজারে আনা সম্ভব হবে।
পূর্বে যা ছিলো:
[২৬ক। (১) ধারা ২৬ এর বিধান সাপেক্ষে, কোন ব্যাংক-কোম্পানী অন্য কোন কোম্পানীর শেয়ার ধারণের ক্ষেত্রে নিমণবর্ণিত পরিমাণের অধিক শেয়ার ধারণ করিবে না, যথা:-
(ক) ধারণকৃত শেয়ার বাজারমূল্যে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর আদায়কৃত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম, সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও রিটেইন্ড আর্নিংস এর মোট পরিমাণের পাঁচ শতাংশ,
(খ) উক্ত কোম্পানীর আদায়কৃত মূলধনের দশ শতাংশ: তবে শর্ত থাকে যে, এই আইন কার্যকর হইবার তিন বৎসরের মধ্যে প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী এমনভাবে উহার পুঁজিবাজার বিনিয়োগ কোষ পুনর্গঠন করিবে যাহাতে ধারণকৃত সকল প্রকার শেয়ার, কর্পোরেট বন্ড, ডিবেঞ্চার, মিউচুয়াল ফান্ড ও অন্যান্য পুঁজিবাজার নিদর্শনপত্রের মোট বাজারমূল্য এবং পুঁজিবাজার কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিয়োজিত নিজস্ব সাবসিডিয়ারী কোম্পানী বা কোম্পানীসমূহ বা অন্য কোন কোম্পানী বা কোম্পানীসমূহে প্রদত্ত ঋণসুবিধা, এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে গঠিত কোন প্রকার তহবিলে প্রদত্ত চাঁদার পরিমাণ সমষ্টিগতভাবে উহার আদায়কৃত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম, সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও রিটেইন্ড আর্নিংস এর মোট পরিমাণের ২৫ (পঁচিশ) শতাংশের অধিক না হয়।
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা ম্যানেজার কোন কোম্পানীর পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট থাকেন বা উহাতে তাহার কোন স্বার্থ থাকে, তাহা হইলে, এই আইন প্রবর্তনের তারিখ হইতে ১ (এক) বৎসর মেয়াদ অতিক্রান্ত হইবার পর, সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা ম্যানেজার উক্ত কোম্পানীতে কোন শেয়ার ধারণ করিতে পারিবে না।
(৩) কোন ব্যাংক-কোম্পানী উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনূর্ধ বিশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবে এবং যদি উক্ত লংঘন অব্যাহত থাকে, তাহা হইলে উক্ত লংঘনের প্রথম দিনের পর প্রত্যেক দিনের জন্য অতিরিক্ত অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থ দন্ডে দন্ডনীয় হইবে।

১ টি মতামত “পুঁজিবাজার: বিনিয়োগসীমা ক্রয় মূল্যকে গণনায় মন্ত্রণালয়ের সম্মতি”

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.