আজ: সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৯ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার |

kidarkar

ক্যাল

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ইভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং এবং ব্রোকারেজ ব্যবসা শুরু করছে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক কোম্পানি ক্যাল। বিনিয়োগকারীকে সঠিক বিনিয়োগে সহায়তা করতে রিসার্চ ভিত্তিক ব্যবসা পরিচালনা করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।

দেশের পুঁজিবাজারে প্রথম বৈদেশিক ব্রোকারেজ ক্যাল সিকিউরিটিজ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে শেয়ার কেনাবেচায় স্টক ব্রোকার ও স্টক ডিলার লাইসেন্স পেয়েছে।

বুধবার রাজধানীর বিজয়নগরস্থ ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) অডিটরিয়ামে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা পরিকল্পনা তুলে ধরেন কোম্পানীর চেয়্যারম্যান অজিত ফার্নান্দো (Ajith Fernando)।

সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানির পরিচালক দিনেশ পুষ্পরাজা, প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা রাজেশ সাহা, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা জুবায়ের মহসনি কবির, ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অব রিসার্চ আহমেদ ওমর সিদ্দিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শুধু ব্রোকারেজ ব্যবসায় নয়, এই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটি একটি মার্চেন্ট ব্যাংকে বিনিয়োগ করেছে, যার কার্যক্রম চলমান।

সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানীর চেয়্যারম্যান অজিত ফার্নান্দো বলেন, “ক্যাল বাংলাদেশ গতানুগতিক ব্যবসার বাইরে গিয়ে ব্রোকারেজে নতুন মাত্রা যুক্ত করতে চায়।

ব্যবসা শুরুর আগেই বাংলাদেশের ম্যাক্রো অর্থনীতির উপর একটি গবেষণা করেছে, যাতে দেখা গেছে বাংলাদেশে আগামী বিনিয়োগের সম্ভাবনা অনেক বেশি। ফলে পুঁজিবাজারও অর্থনীতির একটি সম্ভাবনাময় খাত। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চায়।”

কোম্পানীর পরিচালক আহমেদ রায়হান শামসি বলেন, “বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে নতুন করে অবদান রাখতে চায় ক্যাল বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাপী ফ্রন্টিয়ার মার্কেটে প্রতিষ্টানটির ২২ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।”

এই ব্যবসা শুরুর মাধ্যমে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে, যা বাংলাদেশের সুনাম বা ব্রান্ড ইমেজ বাড়বে। বৈশ্বিক বিনিয়োগও ত্বরান্বিত করবে।

বাংলাদেশের পুঁজিবাজার সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে অজিত ফার্নান্দো বলেন, “গত দুইবছর বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। রেগুলেটরি রিফর্ম হয়েছে।

ক্যাল বাংলাদেশের পরিচালক দেশান পুষ্পারাজা বলেন, ক্যাল আশা করে ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ৪ হাজার মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে, যা বাংলাদেশকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমকক্ষ দেশগুলির অনুরূপ পথ অনুসরণ করে উচ্চ মধ্যম-আয়ের দেশে পরিণত করবে। মাথাপিছু জিডিপি ২,৪০০+ মার্কিন ডলারে পৌঁছানর যাত্রায় বাংলাদেশের অর্থনীতি মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং সিঙ্গাপুরের অনুরূপ পথ অনুসরণ করেছে । সিঙ্গাপুর ১৯৮০ সালের দিকে মাথাপিছু আয় ৪,০০০ মার্কিন ডলারে পৌছাতে পারেছে, মালয়েশিয়া ১৯৯৫ সালে এবং থাইল্যান্ড ২০০৮ সালে সক্ষম হয়েছে।

উল্লিখিত দেশগুলি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের মাথাপিছু জিডিপি ২৫০০ মার্কিন ডলার থেকে ৪০০০+ মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে পেরেছিল। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশগুলোর মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিও একই ধারায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই ধারা বজায় রেখে শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ বাজারের এবং অবকাঠামোয়ে বিনিয়োগের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশও পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে বার্ষিক ১১% নমিনাল হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করে মাথাপিছু জিডিপি ৪০০০ মার্কিন ডলারে পৌছাতে পারে ।

ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অব রিসার্চ আহমেদ ওমর সিদ্দিক বলেন, বর্তমানে উন্নয়নশীল এবং উন্নত উভয় অর্থনীতিই ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতির চাপ থেকে সৃষ্ট সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এতদসত্ত্বেও, দীর্ঘমেয়াদে ক্যাল বাংলাদেশ এর অর্থনীতি উর্ধ্বমুখী থাকবে বলে ধারনা করছে । ক্যালে বিবেচনায় স্বল্প-মেয়াদী চ্যালেঞ্জ থাকলেও, দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশ তার জনসংখ্যা এবং শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির কারণে সমকক্ষ দেশগুলিকে ছাড়িয়ে যেতে সমর্থ হবে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.