আজ: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১০ অগাস্ট ২০২২, বুধবার |

kidarkar

রিসার্চ গ্র্যান্টস ও বেস্ট থিসিস অ্যাওয়ার্ড পেল গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: গবেষণায় কৃতিত্বের ফলস্বরূপ রিসার্চ গ্র্যান্টস ও বেস্ট থিসিস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার ফর রিসার্চ, ইনোভেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরম্যাশন (ক্রিট)’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এর আগে সংক্ষিপ্ত এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকিরের সভাপতিত্বে এতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও খ্যাতিমান গবেষক অধ্যাপক ড. এএ মামুন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো সাইফুল আজাদ, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফারহানা হেলাল মেহতাব, বিজনেস স্টাডিজের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারেক আজিজ, ক্রিট পরিচালক রাতিল এইচ আশিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাবি অধ্যাপক ড. এএ মামুন বলেন, গবেষণা হলো সত্যের অনুসন্ধান। আজ বা কালÑ গবেষণা সত্য হবেই। গল্প ও কবিতায় রবীন্দ্রনাথ-নজরুল যা বলে গেছেন, তা ওই সময়ের পেক্ষাপটে সত্য না হলেও একদিন সত্য হবে। তিনি বলেন, গবেষণার ধর্মই হলো আপ-টু-ডেট তথ্য দেয়া। এটা সবসময়ই প্রাসঙ্গিক।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, একজন শিক্ষকের জন্য শুধু পাঠদান নয়, গবেষণাও সমানভাবে জরুরি। তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব হলো নতুন জ্ঞান সৃষ্টি তথা গবেষণা করা। এই গবেষণা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বাড়ায় তা নয়, জাতিগতভাবেও একটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

গবেষণায় গ্রিন ইউনিভার্সিটির নানা অবদানের কথা তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা দেশ ও বিদেশের বিখ্যাত জার্নালে স্থান পেয়েছে। বেস্ট থিসিস অ্যাওয়ার্ড ও রিসার্চ গ্রান্টস অনুষ্ঠান এই কাজে উত্তোরত্তর উৎসাহ যোগাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বেস্ট থিসিস/প্রজেক্টের সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রাজিবুল পলাশ ও মো. রাকিবুল ইসলাম ও তাদের সুপারভাইজার অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এবং মো. সাকিব ইবনে আশরাফি ও তার সুপারভাইজার মো. হাসান মারুফ গোল্ড ক্যাটাগরিতে পুরস্কার লাভ করেন। সিলভার ক্যাটাগরির অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক তিনটিতে ও মুহাম্মদ আমিনুর রহমান একটি; ব্রোঞ্জ ক্যাটাগরিতে মো. সোলাইমান মিয়া এবং স্পেশাল ক্যাটাগরিতে ড. আহমেদ আল মনসুর ও মো. আনোয়ার হোসেন নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের সুপারভাইজার হিসেবে এই পুরস্কার লাভ করেন।

অন্যদিকে বিভিন্ন ধরনের গবেষণার জন্য প্রায় ৮ লাখ টাকা রিসার্চ গ্র্যান্টস লাভ করেন সিএসই বিভাগের সিএসই বিভাগের ড. মো. আমিনুর রহমান, সৈয়দ আহসানুল কবির, মো. সোলাইমান মিয়া, পলাশ রায় ও মো. গুলজার হোসাইন; টেক্সটাইল বিভাগ থেকে মো. মুতাসিম উদ্দিন এবং গ্রিন বিজনেস স্কুল থেকে আরিফা রহমান ও জিনাত সুলতানা।

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.