গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার অনুব্রত মন্ডল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও প্রদেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২০২০ সালের গরু পাচারের এক মামলায় বৃহস্পতিবার দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া ট্যুডে বলেছে, মমতার শীর্ষ এই সহযোগীকে বৃহস্পতিবার বীরভূম জেলায় নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে অনুব্রতর বীরভূম জেলার বোলপুরের বাড়িতে হাজির হয় সিবিআই। এ সময় তাদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ৩০টি গাড়ির একটি বহর ছিল।
অনুব্রতর শক্তিশালী ঘাঁটি বীরভূম থেকে তুলে নেওয়ার আগে তৃণমূলের এই নেতাকে বাড়িতে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআইয়ের কর্মকর্তারা। আজ আরও পরের দিকে তার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে সিবিআই।
গ্রেপ্তারের সময় হাজার হাজার মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের এই নেতার বাড়ির বাইরে জড়ো হন। বৃহস্পতিবারই তাকে আসানসোলের একটি আদালতে হাজির করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার দায়ে তৃণমূলের আরেক নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তারের কয়েকদিন যেতে না যেতেই মন্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই।
দেশটির কেন্দ্রীয় এই তদন্ত সংস্থা অনুব্রত মন্ডলকে গ্রেপ্তারের আগে অন্তত ১০ বার তলব করেছিল। কিন্তু তিনি শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে সিবিআইয়ের তলবে সাড়া দেননি। এর আগে গরু পাচার মামলার তদন্তের অংশ হিসাবে সিবিআইয়ের কর্মকর্তারা তাকে দুবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে তাকে ভর্তি করানোর প্রয়োজন নেই বলে জানানোর পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২০২০ সালে সিবিআইয়ের একটি এফআইআর দায়েরের পর তদন্তে গরু পাচার কেলেঙ্কারিতে উঠে আসে অনুব্রত মন্ডলের নাম। সিবিআইয়ের মতে, ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ২০ হাজারের বেশি গবাদি পশু জব্দ করেছিল। সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাচারের সময় এসব পশু জব্দ করা হয়।
শেয়ারবাজার নিউজ/খা.হা.