প্রভিশন সংরক্ষণে সোনালী ব্যাংক ও বিডিবিএলের চমক
নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংক খাতে বিতরণকৃত মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। এর মধ্য ১ লাখ ২৫ হাজার ২৫৭ কোটি টাকাই খেলাপি। যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৮ দশনিক ৯৬ শতাংশ।
ব্যাপকহারে খেলাপি ঋণ বাড়ায় পুরো ব্যাংক খাতই ঋণমান অনুযায়ী নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন ঘাটতিতে পড়েছে। জুন প্রান্তিক শেষে ব্যাংক খাতে প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ১২০ কোটি টাকা। এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক- অগ্রণী, বেসিক, জনতা, রূপালীর ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ১৭ কোটি টাকা।
তবে ব্যতিক্রমী রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল)। ব্যাংক দুটির প্রভিশন ঘাটতির বদলে অতিরিক্ত প্রভিশন সংরক্ষণ করে চমক সৃষ্টি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী সোনালী ব্যাংকের অতিরিক্ত নিরাপত্তা সঞ্চিতি রয়েছে ৩৮০ কোটি ২৭ লাখ টাকা এবং বিডিবিএলের অতিরিক্ত রয়েছে ১৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে একটি ব্যাংকের অশ্রেণিকৃত বা নিয়মিত ঋণের বিপরীতে দশমিক ২৫ থেকে ৫ শতাংশ হারে প্রভিশন রাখতে হয়। নিম্নমান বা সাব-স্ট্যান্ডার্ড ঋণের বিপরীতে রাখতে হয় ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক ঋণের বিপরীতে ৫০ শতাংশ এবং মন্দ বা কু-ঋণের বিপরীতে ১০০ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়।
ব্যাংক যেসব ঋণ বিতরণ করে তার গুণমান বিবেচনায় নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) হিসেবে জমা রাখতে হয়। অর্থাৎ কোনো ঋণ শেষ পর্যন্ত মন্দ (খেলাপি) ঋণে পরিণত হলে তাতে ব্যাংক যেন আর্থিকভাবে ঝুঁকিতে না পড়ে, সেজন্য প্রভিশন রাখার নিয়ম রয়েছে।