আজ: বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৮ অগাস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

প্রতিবছর বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ৩০ নভেম্বর

এখন থেকে প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট তারিখে (৩০ নভেম্বর) বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে প্রাথমিক বাছাই, লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচিও জানিয়ে দেওয়া হবে।

পিএসসির গঠিত বিসিএস ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কমিটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এতদিন পিএসসিতে সাধারণ বিসিএসের বিজ্ঞাপন প্রকাশের কোনো নির্দিষ্ট তারিখ ছিল না। সময়-সুযোগ অনুযায়ী নতুন বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতো। এখন থেকে চাকরিপ্রার্থীদের সুবিধা ও যথাযথ প্রস্তুতির বিষয়টি মাথায় রেখে প্রতিবছর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন নির্দিষ্ট করেছে পিএসসি।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে প্রতিবছরের ৩০ নভেম্বর বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। সর্বশেষ ৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি গত বছরের ৩০ নভেম্বর প্রকাশ করা হয়েছে।

পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেন, বিসিএস ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কমিটির সভায় বিসিএসের পরীক্ষার বিভিন্ন ধাপের সময় কিভাবে কমিয়ে আনা যায় সে ব্যাপারে নানা প্রস্তাব এসেছে। সভায় প্রতিবছর ৩০ নভেম্বর নতুন বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং এতেই সব ধাপের পরীক্ষার তারিখ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। চাকরিপ্রার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির সুবিধার্থে শুরুতেই পরীক্ষার তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, ৪৪তম বিসিএসের প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষার ফল মাত্র ২৫ দিনে প্রকাশ করা হয়েছে। যা পিএসসির ইতিহাসে রেকর্ড। আমরা এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে চাই। ভবিষ্যতে দ্রুততম সময়ে নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। এ বছর পিএসসির কোন পরীক্ষা কখন নেয়া হবে, সে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুস সবুর মণ্ডল বলেন, ৪৫তম বিসিএস সামনে রেখে ক্যাডার কর্মকর্তার শূন্য পদের চাহিদা তৈরির পাশাপাশি নন-ক্যাডারের শূন্য পদের তালিকা তৈরি করতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। এরই মধ্যে কিছু তালিকা পাওয়া গেছে। তবে এখনো পদের সংখ্যা নির্দিষ্ট হয়নি।

পিএসসি পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা কমিটি সূত্র জানায়, এখন থেকে পিএসসি যত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে, তাতে প্রাথমিক বাছাই, লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষার তারিখ উল্লেখ করার চেষ্টা করবে। অনেক ভেবেচিন্তে এই তারিখ নির্দিষ্ট করা হবে। এসব তারিখ অনুযায়ী পরীক্ষা নেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। একটি পরীক্ষার কারণে অন্য পরীক্ষা যেন ব্যাহত না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হবে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.