আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৫ অগাস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

এমএফ'স ক্যাশ ডিভিডেন্ড

উৎসে কর কর্তনের পরিকল্পনায় সমালোচনার মুখে এনবিআর

শাহ আলম নূর : জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ট্যাক্স অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মিউচুয়াল ফান্ড এর জন্য প্রদত্ত নগদ লভ্যাংশের উৎস থেকে ট্যাক্স কাটার পরিকল্পনা করছে। এমন পদক্ষেপে সংশ্লিষ্ঠদের কাছ থেকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে রাজস্ব বোর্ড।

দেশে নিবন্ধিত যে কোনও সংস্থা বা যে কোনও তহবিল, মিউচুয়াল ফান্ড এবং শেয়ারহোল্ডারদের ইউনিট বা অন্য কোনও সংস্থার দ্বারা নিবন্ধিত অনাবাসিক শেয়ারহোল্ডারদের আয়কর অধ্যাদেশের নিয়ম অনুসারে নগদ লভ্যাংশ থেকে উৎসে ট্যাক্স কর্তনের করা হবে। একটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট ফার্মের প্রতিক্রিয়ায় এনবিআর এমন মতামত দিয়েছে।

এআইএমএসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াওয়ার সাঈদ বলেন, আগে এমন কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এনবিআরের এমন নতুন পদক্ষেপে মিউচুয়াল ফান্ড খাতের জন্য ক্ষতিকর হবে বলে তিনি মনে করেন।

তিনি বলেন আমরা ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কশিমনকে (বিএসইসি) চিঠি দিয়েছি। এনবিআর এ বিষয়ে শুধু মতামত দিয়েছে। তবে চূড়ান্ত হতে আরও সময় লাগবে বলে তিনি মনে করেন।
এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ লিমিটেডের হেড অব লিগ্যাল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স মনোয়ার হোসেন বলেন, “আমরা লভ্যাংশ ঘোষণা করে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছি। এতে তারা সাধারণত বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বেশ ভাল সাড়া পাচ্ছেন। উৎসে কর কর্তনের বিধান কার্যকর হলে খাতটি ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তিনি মনে করেন।

তিনি বলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মোট বাজার মূলধনের মাত্র ২ শতাংশ মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি সায়েদুর রহমান বলেন, এনবিআর যে মতামত দিয়েছে তা অবাস্তব। “মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট হোল্ডারদের সুরক্ষিত করার জন্য এটি এখনই সমাধান করা দরকার বলে তিনি মনে করেন।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, আমরা এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।

গত অর্থ বছরের জুলাই-জুন পর্যন্ত রক্ষণাবেক্ষণকারী ৩৬টি তালিকাভুক্ত মিউচুয়াল ফান্ডের (এমএফ) মধ্যে, ২০টি এমএফ তাদের আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে, ১৬টি এমএফ সামান্য পরিমান লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, দুটি বেশ ভাল পরিমান লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে এবং অন্য দুটি গত বছরের ন্যয় লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

এদিকে, ২০টি এমএফ এর মধ্যে, ১৯টি ফান্ডের ইউনিট প্রতি আয় (ইপিইউ) আগের বছরের তুলনায় কমেছে।

বাংলাদেশে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) এমএফের সম্পদ, যা মাত্র ০.৫৩ শতাংশ, উদীয়মান অর্থনীতির মধ্যে সবচেয়ে কম। অনুপাত ভারতের জন্য ১১ শতাংশ, মালয়েশিয়ার জন্য ৩২ শতাংশ, পাকিস্তানে ১.৫১ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৭৩ শতাংশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১১৮ শতাংশ। বিশ্বব্যাপী গড় ৬২ শতাংশ।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.