২৫ দিনে এলসি খোলা ও নিস্পত্তি কমেছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে আমদানি ব্যয় মেটাতে চাপ পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। চলতি অর্থ বছরের ১ মাস ২৪ দিনেই ব্যাংকগুলোকে ২০৪ কোটি ডলারে যোগান দিতে হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। এ সংকট কাটাতে আমদানি ব্যয় সংকোচন নীতিতে রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর সুফল হিসেবে আগস্টের প্রথম ২৫ দিনে এলসি নিস্পত্তি হয়েছে ৪৪৪ কোটি ডলারের। একই সময়ে এলসি খোলা হয়েছে ৩৮৯ কোটি ডলারের। খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, চলতি মাসে আগের মাসের তুলনায় অন্তত ১ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা ও নিস্পত্তি কমবে আসবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর আগস্ট মাসের প্রথম ২৫ দিনে এলসি নিষ্পত্তি করা হয়েছে ৪৪৩ কোটি ৯৮ লাখ ডলার। আগের মাস জুলাইতে এলসি নিষ্পত্তি হয়েছিলো ৬৫৮ কোটি ডলার। অর্থাৎ চলতি মাসের পাঁচ দিন বাকি থাকতে এলসি নিষ্পত্তিতে ব্যবধান তৈরি হয়েছে ২১৪ কোটি ডলারের। আর চলতি মাসের একই সময়ে আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে ৩৮৯ কোটি ৪১ লাখ ডলারের। জুলাই মাসে যার পরিমাণ ছিলো ৫৫৫ কোটি ডলার। সে হিসেবে মাসের পাঁচ দিন বাকি থাকতে এলসি খোলায় ব্যবধান তৈরি হয়েছে ১৬৬ কোটি ডলার।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আমদানি ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে বাকি পাঁচ দিনে এলসি খোলা ও নিষ্পত্তিতে অন্তত ১ বিলিয়ন ডলারের ব্যবধান তৈরি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে দেশের আমদানি খাতে যে ডলার সংকট তৈরি হয়েছে তা অনেকটা কমে আসবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে এলসি নিষ্পপত্তি হয়েছে ৬৮৫ কোটি ডলারের। ফেব্রুয়ারিতে নিষ্পপত্তি হয়েছে ৬৫৫ কোটি, মার্চে ৭৬৭, এপ্রিলে ৬৯৩ কোটি, মে মাসে ৭২৫ কোটি, জুনে ৭৭৫ কোটি এবং জুলাই মাসে নিষ্পপত্তি হয়েছে ৬৫৮ কোটি ডলার। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এলসি নিষ্পত্তি কমেছে ৪.২৬ শতাংশ তবে মার্চ মাসে তা বেড়েছে ১২.২ শতাংশ, এপ্রিলে ৫.৬৬ শতাংশ বেড়েছে, মে মাসে কমেছে ৫.৫৩ শতাংশ, জুনে বেড়েছে ১১.৮৮ শতাংশ, আর জুলাইতে কমেছে ৯.২৩ শতাংশ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিবার্হী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, সংকটময় পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন গভর্নর যোগ দেওয়ার পর নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে আমদানি ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে ৩ মিলিয়ন বা ৩০ লাখ ডলারের ওপরে হেয়ে ২৪ ঘণ্টা আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জানাতে হবে। এছাড়া বিলাসবহুল পণ্যের এলসি মার্জিন শতভাগ করা হয়েছে। আবার কোন অনিয়ম দেখা পেলে তা আটকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব উদ্যোগের ফলে জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে এলসি নিষ্পতি কমে এসেছে।