আজ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৬ অগাস্ট ২০২২, শুক্রবার |

kidarkar

তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার আশ্বাস ভারতের

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) ৩৮তম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি আলোচনায় এসেছে। চুক্তিটি দ্রুত সম্পন্ন করতে ভারতকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। ভারতও চুক্তিটি সম্পন্ন করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার আশ্বাস দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) নয়াদিল্লিতে জেআরসির বৈঠকটি হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। প্রতিনিধিদলে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম ও সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ারও ছিলেন। ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন জলশক্তি (পানিসম্পদ) মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত।

অভিন্ন বা আন্তঃসীমান্ত নদী বিষয়ে পারস্পরিক স্বার্থ-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য একটি দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়া হিসেবে ১৯৭২ সালে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ নদী কমিশন বা জেআরসি গঠিত হয়েছিল।

কমিশনের বৈঠকে অভিন্ন নদী বিশেষ করে গঙ্গা, তিস্তা, মনু, মুহুরি, খোয়াই, গোমতী, ধরলা, দুধকুমার এবং কুশিয়ারা নদী সংক্রান্ত সব সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। এসব নদীর পানি বণ্টন, বন্যার তথ্য আদান-প্রদান, নদী দূষণ মোকাবিলা, পলি ব্যবস্থাপনার ওপর যৌথ সমীক্ষা পরিচালনা, নদীর তীর রক্ষার কাজসহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংক্রান্ত চলমান বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক বিষয় আলোচনায় উঠে আসে।

উভয়পক্ষ কুশিয়ারা নদীর অন্তর্বর্তীকালীন পানিবণ্টন বিষয়ে সমঝোতা স্মারকের বিষয়বস্তু চূড়ান্ত করেছে। এই বিষয়ে ২০১৯ সালের অক্টোবরে স্বাক্ষরিত ভারত-বাংলাদেশ সমঝোতা স্মারক অনুসারে ত্রিপুরার সাব্রুম শহরের খাবার পানির চাহিদা মেটাতে ফেনী নদীর ওপর পানি ইনটেক পয়েন্টের নকশা এবং অবস্থান চূড়ান্তকরণকে স্বাগত জানায় দুই দেশ।

বৈঠকে উভয় পক্ষই ১৯৯৬ সালের গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তির অধীনে বাংলাদেশের প্রাপ্ত পানির সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা করতে সম্মত হয়।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.