আজ: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩০ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার |

kidarkar

নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার বিষয়ে একমত নন কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : ৯টি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে একমত নন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী তার মত প্রকাশ করেন। এর আগে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের জানান, ভোজ্যতেলের মতো চাল, গম (আটা-ময়দা), চিনি, মসুর ডাল, পেঁয়াজ, রড ও সিমেন্টসহ ৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেবে সরকার। ট্যারিফ কমিশন আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এসব পণ্যের যৌক্তিকমূল্য বের করবে। কেউ নির্ধারিত মূল্যের বেশি নিলে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন<<পনেরো দিনের মধ্যে ৯ পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করবে সরকার

নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার এ পদক্ষেপ কতটা বাস্তবসম্মত- জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, জানি না, এ প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারবো না। ট্যারিফ কমিশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলুক।

কৃষিপণ্য তো আপনার মন্ত্রণালয়ের অধীন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী কিছুটা বিরক্তি নিয়ে বলেন, ‘তাহলে কী হবে? এগুলোর দাম…ই করে দিয়ে, এগুলো খুব হয় না। এগুলো…মার্কেটে সাপ্লাই অ্যান্ড ডিমান্ড (সরবরাহ ও চাহিদা), এটা হলো ইকোনমিকসের বেসিক থিউরি। সেনাবাহিনী দিয়ে মিগ ফিট করে কিছু করতে পারবে না।’

তাহলে কী আপনাদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘না, আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি। এখন কীসে কমাবে। আমরা বিদেশ থেকে চাল আনতেছি, আমরা ওএমএসে দিচ্ছি। এগুলোতে (চালের) দাম ইনশাআল্লাহ কমবে।’

তিনি বলেন, ‘চাল আমদানি ছাড়াও  সেপ্টেম্বর থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হবে। এক কোটি পরিবারকে টিসিবির মাধ্যমে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হবে। একই সঙ্গে ওএমএসের মাধ্যমে সারাদেশে চাল বিক্রি করা হবে। আশা করি, এসব পদক্ষেপের কারণে চালের দাম কমে আসবে।’

রাতে সেচকাজে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কৃষকরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছেন কি না জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক জায়গায় পাচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায়…। আমি মন্ত্রীর (বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী) সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের ময়মনসিংহে একটু সমস্যা আছে। গ্রিড লাইনে যেখানে উৎপাদন হয় সেখানে সমস্যা, যে পরিমাণ দরকার সেই পরিমাণ উৎপাদন হচ্ছে না। কাজেই দিতে পারছে না। এ রকম কিছু সমস্যা আছে। কিন্তু মোটামুটিভাবে গ্রামে গভীর রাতে যে সরবরাহ বাড়ানোর কথা সেটা বাড়ানো হয়েছে।’

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.