জ্বালানির দাম কমেছে, দ্রব্যমূল্যও কমানো উচিত: এফবিসিসিআই সভাপতি
সরকার দেশে জ্বালানি তেলের দাম কমানোয় ব্যবসায়ীদেরও দ্রব্যমূল্য কমানো উচিত বলে মনে করেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম কমানোর ফলে যে হারে পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবসার খরচ কমবে, সেই হারে পণ্য ও সেবার দাম কমানোর জন্যও আমি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) এফবিসিসিআই থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
এতে বলা হয়, আমদানি শুল্ক হ্রাস ও আগাম কর প্রত্যাহারের একদিনের মাথায় ডিজেল, পেট্রল, অকটেন ও কেরোসিনের দাম কমানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। জনস্বার্থে জ্বালানি তেলের দাম কমানোয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানান তিনি।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, অর্থনীতির ওপর চাপ এড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জ্বালানি তেলের ওপর শুল্ক হ্রাস ও কর প্রত্যাহার করেছে। এটা অর্থনীতিবান্ধব সিদ্ধান্ত। প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ নেতৃত্ব ও ব্যবসাবান্ধব নীতি সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের এ নেতা মনে করেন, সংকটময় বৈশ্বিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশে জ্বালানি তেলের দাম পুনরায় সমন্বয়ের (কমানো) ফলে অর্থনীতির ওপর চাপ কমবে। জ্বালানি তেলের দাম কমায় পণ্য উৎপাদন ও পরিবহন খরচসহ সামগ্রিক ব্যবসার ব্যয় কমবে। কৃষিখাতে সেচও আগের তুলনায় সাশ্রয়ী হবে। ফলে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণও সহজ হবে।
এর আগে গত ১৪ আগস্ট জনস্বার্থে শুল্ক-কর প্রত্যাহার করে জ্বালানি তেলের মূল্য পুনরায় সমন্বয়ের অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেয় এফবিসিসিআই। এরপর ২৮ আগস্ট ডিজেলের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ ও ৫ শতাংশ আগাম কর প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।