আজ: শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ইং, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩০ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার |

kidarkar

কিডনি রোগ ও হেমোডায়ালাইসিস বিষয়ে বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন ও নিপ্রো-জেএমআইয়ের আন্তর্জাতিক কর্মশালা

নিজস্ব প্রতিবেদক :  বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল কিডনি রোগ ও হেমোডায়ালাইসিস বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক কর্মশালা।

সোমবার (২৯ আগস্ট, ২০২২) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে দিনব্যাপী এই আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল জাপান- বাংলাদেশের যৌথ বিনিয়োগের প্রতিষ্ঠান নিপ্রো-জেএমআই মেডিকেল লিমিটেড।

কর্মশালায় দেশ–বিদেশের বিশেষজ্ঞরা কিডনি রোগ থেকে বাঁচার উপায় এবং রোগাক্রান্ত ব্যক্তিকে কীভাবে কম খরচে ভালো সেবা দেয়া যায়, সেসব বিষয় নিয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করে পরামর্শ তুলে ধরেন। তাঁদের আলোচনায় বিষয় হিসেবে নির্বাচন করা হয় — মানসম্মত পানি ব্যবহার করে সাশ্রয়ী মূল্যে হেমোডায়ালাইসিস সেবা প্রদান, সঠিক ডায়ালাইজারের ব্যবহার, এবং সিঙ্গাপুর, ইউরোপ ও জাপানের অভিজ্ঞতার আলোকে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ডায়ালাইসিস সেবার সাম্প্রতিক ধরণ বিশ্লেষণ।

কর্মশালায় নিবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাজ্যের নর্থহাম্পটনশায়ার কেটারিং জেনারেল হসপিটাল-এর চিকিৎসক আহমেদ শাওকি অর্ণব, ঢাকার পপুলার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এম. মুহিবুর রহমান, সিঙ্গাপুরের ড. শ্রী’জ কিডনি অ্যান্ড মেডিকেল পার্কওয়ে ইষ্ট হসপিটাল- এর পরিচালক ডা. শ্রীনিবাস সুব্রামানিয়ান, সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন-এর মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. বেহরাম আলী খান, এবং নিপ্রো-জেএমআই মেডিকেল লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক কুনিও (কেনি) তাকামিদো।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেফ্রোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেফ্রোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম এবং বিশেষ অতিথি হিসবে বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ  ম্পাদকওবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেফ্রোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. কে বি এম হাদিউজ্জামান বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন জেএমআই গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক।

কর্মশালায় জানানো হয়, দেশের কিডনি রোগে আক্রান্তদের মাত্র ৪০ শতাংশ ডায়ালাইসিস সেবা পাচ্ছেন। ফলে তাঁদের একটা বড় অংশ মারা যান বিনা চিকিৎসায়। এজন্য, সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত প্রযুক্তির সেবা নিশ্চিতে তাগিদ দেন বক্তারা। পাশাপাশি কিডনির নানা সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি এবং রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা শুরু ওপরও জোর দেন তাঁরা।

সরকারের পক্ষ থেকে দেশের প্রতিটি কিডনি রোগীর জন্য চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তা বাস্তবায়নে চিকিৎসক সমাজ ও ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার বিষয়টিও কর্মশালার আলোচনায় ওঠে আসে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.